হোম কিংবা অ্যাওয়ে, ম্যানচেস্টার সিটিকে থামাতে পারবে এরকম তো মনেই হচ্ছে না; সিটিজেনদের সবশেষ শিকার আর্সেনাল। গানারদের পতন হয়েছে নিজেদের দুর্গ এমিরাটসে।
ম্যাচ শুরুর দুই মিনিটের মধ্যে রাহিম স্টারলিংয়ের গোলে লিড নেয় সিটি। রাইট উইংয়ের ক্রস দুই ডিফেন্ডার রব হোল্ডিং এবং পাবলো মারির মাঝখান থেকে হেড করে গোল করেন স্টার্লিং। এই নিয়ে আর্সেনালের মাঠে টানা তিন ম্যাচে স্কোর শিটে ইংলিশ উইঙ্গার।
ম্যানচেস্টার সিটির বেশিরভাগ আক্রমণে হয়েছে ডান প্রান্ত থেকে যার মূল নেতৃত্বে ছিলেন রিয়াদ মাহরেজ। মিডফিল্ডে কেভিন ডি ব্রুইনার ফিরে আসা ম্যানচেস্টার সিটিকে দিয়েছিল বাড়তি শক্তি, মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ প্রায় পুরোটাই ছিল সিটির পায়ে। অন্যদিকে এল নেনি, গ্রানিট শাকারা বরাবরই মাঝমাঠের দখল রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন, আউবামেয়াং কিংবা নিকোলাস পেপেরাও ছিলেন নিষ্প্রভ, যে কারণে ম্যাচের কোন অংশেই সিটিকে যথেষ্ট চাপে ফেলতে পারেনি আর্সেনাল। তবে সিটি যত ভালই খেলুক, রাহিম স্টারলিংয়ের দুই মিনিটের ওই গোলটিই ছিল ম্যাচ নির্ধারক, কেননা পুরো ম্যাচে আর কোন গোলই হয়নি।
২৫ ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৫৯, ইংলিশ লিগ টেবিলের এক নম্বরে। শনিবারই অ্যাস্টন ভিলাকে দুই এক হলে হারিয়ে দুইয়ে উঠে আসা লেস্টারের সাথে দশ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে মাহরেজ, ব্রুইনরা।
প্রথমবারের মতো টানা চার হোম ম্যাচে সিটির বিপক্ষে গোল করতে ব্যর্থ আর্সেনাল। সামনে তাদের ম্যাচ ইউরোপাতে, দ্বিতীয় লেগে প্রতিপক্ষ বেনফিকা। হাতে আছে দুই দিন, ম্যানচেস্টার সিটির সাথে খাপছাড়া পারফরম্যান্সের পর বেনফিকার বিপক্ষে নামার আগে আর্সেনালের নিজেদের ঝালাই করে নেওয়াটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হওয়ার কথা। সিটির সামনে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বের লড়াই। প্রতিপক্ষ বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখ, খেলা বুধবার রাতে।