৭৭,৪২,১৪৫, ৪৩, ৪০, ৯০, ৩২, ৩৪, ৯১…
গত অক্টোবর থেকে আজকে পর্যন্ত তানজিদ হাসান তামিমের কিছু রান। যদিও সবই ফার্স্টক্লাসে বা এনসিএল-বিসিএলে, তবুও এগুলো রানের ধারাবাহিকতায় থাকার ইঙ্গিত বহন করে। নামের পাশাপাশি ব্যাটিং স্টাইল ও মারকুটে স্বভাবে অসম্ভব মিল রয়েছে বলে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের এই ওপেনারকে ‘জুনিয়র তামিম’ বলেই ডাকা হয়। অথচ আজ নর্থ জোনের হয়ে রাজশাহীতে ৯১ রানের ইনিংস খেলে যখন ড্রেসিংরুমে ফিরলেন, তামিম জানতে পারলেন বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে তাকে রাখা হয়নি কোন দলেই!
একইরকম ধারাবাহিকতার সাথে গত দুইমাসব্যাপী রান করেছেন তামিমের সতীর্থ শাহাদাত হোসেন দীপু। তিনিও এখনো অবিক্রীত।
হাসান মুরাদের নামটিও বলা যায়। এনসিএলে সর্বোচ্চ ৩৩ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি স্পিনার বিসিএলেও দেখাচ্ছেন বল হাতে জাদু। কিন্তু তার জাদু পড়েনি বিপিএলের কোন ফ্র্যাঞ্চাইজির চোখে।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের প্রায় ২ বছর হয়ে যাচ্ছে। এই খেলোয়াড়গুলি এখন পরিণত। এবং নিয়মিত ঘরোয়ায় নিজেদের প্রমাণ করছেন। এদের এখন ক্যারিয়ারের সূচনালগ্ন। বিপিএলটা হতে পারতো ক্যারিয়ারের একটি ‘টেক অফ’ এর মঞ্চ। খেলানো হোক বা না হোক, অন্তত দলে রাখা হলেও এরা পেতেন অনুপ্রেরণা।
অবশ্য আকবর, ইমন, শরীফুল, জয়, তৌহিদ হৃদয়দের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের অন্যান্য সদস্যরা দল পেয়েছেন।
তবে মাথায় রাখা এটাও প্রয়োজন এটা বিপিএল। এখানে ড্রাফটের বহুদিন পর পর্যন্ত এমনকি বিপিএল চলাকালীনও খেলোয়াড়দের দলে ভেড়ানোর নজির আছে। এই যেমন রিশাদ হোসেন নামের লেগস্পিনারকে সন্ধ্যায় সাইন করালো ঢাকা। এই তরুণরাও অল্পদিনের মধ্যেই দল পেয়ে যাবেন এটার জোর সম্ভাবনা আছে।