তৃতীয় বাছাই নাওমি ওসাকার কাছে সরাসরি সেটে হেরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছেন সেরেনা উইলিয়ামস। মেলবোর্নের রড লেভার অ্যারেনায় ৬-৩ ও ৬-৪ সেটে হারেন সেরেনা।
দশম বাছাই সেরানা তার ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে, বয়সও প্রায় চল্লিশ ছুঁই ছুঁই; তারপরও ওসাকার সাথে মোকাবেলায় কেউই সেরেনাকে পিছিয়ে রাখেননি। কিন্তু ভাবনা বা প্রেডিকশন যে কোর্টে মূল্যহীন, তা প্রমান হয়েছে। সাত সাতবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতা সেরেনা ওসাকার বিপক্ষে শুরু থেকেই ছিলেন এলোমেলো, একের পর এক ভুল করেছেন। আনফোর্সড এরর প্রথম সেটেই ছিলো পঞ্চাশ ভাগের বেশি।
সার্ভিস, রিটার্ন কিংবা ডিফেন্ডিং; সব পয়েন্টেই সেরানাকে খাবি খাইয়েছেন জাপানিজ ওসাকা। মূলত নাওমি ওসাকার তারুণ্যের শক্তি আর তেজের কাছেই হেরেছেন ৩৯ বছর বয়সী সেরেনা। বয়স যে আসলেই একটা ব্যাপার এবং সংখ্যাও বটে; সেটা ভালোই টের পেয়েছেন রেকর্ড ২৩ গ্র্যান্ডস্ল্যাম জেতা সেরেনা উইলিয়ামস। বিদায় বলার সময়ও হয়ে গেছে কিনা, কে জানে?
ম্যাচ শেষে বরাবরেই মতোই আবেগী ছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। তবে নাওমি ওসাকার কথাই হয়তো হারার পর সেরেনার প্রাপ্তি।
পোস্ট ম্যাচে প্রেজেন্টেশনে ওসাকা খুব সহজভাবেই বলেছেন, “সেরেনার সাথে খেলাটাই অনেক বড় সম্মান”
কেন বলবেন না? নারী টেনিসের সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ডস্ল্যামতো ওই সেরেনারই দখলে, ২৩টি। স্বাভাবিকভাবেই, টাকা আয়ের হিসেবেও সেরেনা উইলিয়ামস অলটাউম গ্রেট, সবার ওপরে।