ক্রিকেটে একটা কথা আছে ‘ক্যাচ মিস, তো ম্যাচ মিস’। আর ফুটবলে ধরা যায়, ‘পেনাল্ট মিস, তো ম্যাচ মিস’। এতো বড় সুযোগ পেয়েও যারা মিস করেন, তাদের আফসোস করা ছাড়া উপায় নেই। তবে সেই আফসোসকে দীর্ঘায়িত করে নি ম্যানচেস্টার সিটি। লিভারপুল এবং ম্যানসিটির ম্যাচে হেড টু হেড সমীকরণ করলে দেখা যায়, অলরেডদের জয়ের পাল্লাই ভারী। তবে সিটির দলটা এই মৌসুমে একেবারেই গোছানো, টানা ১৩ ম্যাচে জয় নিয়ে টেবিলের শীর্ষে। যারপরনাই এই ম্যাচ নিয়ে সবার আকর্ষণ ছিল তুঙ্গে। ম্যাচের আধা ঘণ্টা পার, তখনো খেলায় নিজেদের মেলে ধরতে পারে নি কোনো দলই। ফিরমিনোর ডিরেক্ট শট হাত উঁচিয়ে আটকে দেন এডারসন। এরপর পেনাল্টি মিস করে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেবার সুযোগ হাতছাড়া করেন ম্যানসিটির গুন্দোয়ান।
দ্বিতীয়ার্ধে, সেই গুন্দোয়ানের পা থেকেই আসে গোল, ডি-বক্সে লিভারপুলের গোলরক্ষকসহ আটজন, তবে ডিফেন্সিভ পাওয়ার দেখাতে পারেন নি কেউই। ছোট ছোট পাসে গোলপোস্টে বল চালান করে সিটি। এরপর ছড়ায় আসল উত্তাপ! লিভারপুল এবার খেলার গতি বাড়িয়ে দেয়। ডেঞ্জারাস ফাউলের শিকার হন সালাহ, রেফারির কাছ থেকে আসে পেনাল্টি কিকের ঘোষণা। হালকা ডানে মোড় নিয়ে মিশরীয় তারকা সালাহ বল পাঠান জালে। সিটির দ্বিতীয় গোলটিও এসেছে গুন্দোয়ানের ডান পায়ের আলতো শট থেকে। মাঠে দুই গোলবারের নিচে দুই ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক, একজন গেলেন নায়ক বনে, অপরজন খলনায়ক। আবারো গোল খেয়ে বসেন অ্যালিসন বেকার।
শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন য়্যুর্গেন ক্লপ। ডিফেন্ডিং চ্যাম্প লিভারপুল টানা ৩ হোম ম্যাচ হারলো। অ্যানফিল্ডে অলরেডদের বিপক্ষে একই ম্যাচে স্কোর এবং এসিস্ট করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হয়েছেন ম্যানসিটির ফিল ফোডেন। ২২ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে সিটি টেবিল টপার, ৪০ পয়েন্ট নিয়ে চারে নেমে গেলো লিভারপুল।