সুন্দর যাচ্ছিলো সবকিছু। নান্দনিক দুটি শটে অর্ধশতক পেরিয়েছিলেন লিটন দাস। নুরুল হাসান সোহান ও খুব বেশি স্ট্রাগল করছিলেন না; লিটনকে সঙ্গ দিয়ে গেলেই হত।
কিন্তু নুরুল বোধহয় খানিকক্ষণের জন্য ভুলে গিয়েছিলেন তারা বাংলাদেশের শেষ দুজন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান! নয়তো হুট করে সাজিদ খানের বলটি লং অন দিয়ে তুলে দিতে যাবেন কেন? আর শটটি শক্তহাতে মাঠ পার করার জন্যও ছিলোনা, পিঞ্চ হিট করে ত্রিশ গজি বৃত্ত পার করানো ‘চেক শট’ লং অনে ধরা পড়ে ১৫ রানে আউট হলেন সোহান, ম্যাচ পরিস্থিতির সাথে একেবারেই বেমানান একটি শট খেলে।
২০১৮ সালের পর প্রথমবার টেস্টে সুযোগ পেয়েছিলেন। তাও দারুণ আঁটসাঁট ইনিংস খেলতে থাকা ইয়াসির আলী রাব্বির ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে। নিজের সুযোগটি তো কাজে লাগাতে পারলেনই না সোহান, রাব্বির ইনিংসটির মর্যাদাও রাখতে ব্যর্থ হলেন।
এরপর লিটন দাসও বেশিক্ষণ টিকলেন না, শাহীন আফ্রিদির ভেতরে ঢোকা একটি বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ৫৯ রানে ফিরলেন তিনি। লেজ মুড়োতে বেশি সময় লাগলো না। ১৫৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ, আফ্রিদি নিলেন ৩২ রানে ৫ উইকেট। ম্যাচ জিততে পাকিস্তানের লাগবে মাত্র ২০২ রান।