২১ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার

আবার বছর কুড়ি পর

- Advertisement -

কুড়ি বছর আগের কলকাতা আর কুড়ি বছর পরের আবুধাবি; তখনকার ভারত-অস্ট্রেলিয়া আর দুই হাজার একুশে রোববারের আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়ে। দুই বড় নামের সাথে ক্রিকেট শক্তির বিচারে ছোট দুই নাম নিয়ে আলোচনাকে অপ্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে, তবে জিম্বাবুয়ের যদি মরুর বুকে আফগানিস্তনের সাথে সিরিজের শেষ টেস্টে ইতিহাসের জন্ম দিতে পারত, তবে হয়তো ঘুরেফিরে আসত কলকাতা টেস্টে।

কী অদ্ভুত! আজকের এই দিনেই কলকাতা টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ১৭১ রানে হারিয়েছিল ভারত, অথচ প্রথমে লক্ষ্মণ-দ্রাবিড়দের ভারত পড়েছিল ফলো-অনে। সেখান থেকেই ইতিহাস; জিম্বাবুরে পারেনি; তাতে কী, লড়াই করে হেরেছে।

প্রথম টেস্টে আফগানিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে, দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেই আফগানিস্তানের পাঁচশর বেশি রান, একাধিক রেকর্ড; হাসমতউল্লাহ শাহীদির দ্বিশতক। শতক পেয়েছিলেন আফগান অধিনায়ক আজগর আফগান। সবমিলিয়ে আফগানিস্তানের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। সেই প্রত্যাবর্তনের আলোয় হারিয়ে যেতে পারতো জিম্বাবুয়ে, হারিয়েও ছিল। তবে শুধুই প্রথম ইনিংসে।

ফলো-আনে পড়েও দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল জিম্বাবুয়ে। অসম্ভবকে সম্ভব করার একটা আভাসও দিচ্ছিল রোডেশিয়ানরা। হয়নি; তবে ডোনাল্ড তিরিপানো যেভাবে ব্যাটিং করেছেন। শন উইলিয়ামস ছিলেন ‘লাস্ট ম্যান স্ট্যান্ড’, ছিলেন অপরাজিত। ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৯৫ করে আউট হয়েছেন; ওই পজিশনে জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ রান তিরিপানোর। ফলো অনের পর তিরিপানো আর উইলিয়ামসের পারফর্ম্যান্স ৮ নম্বরে ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

উইলিয়ামস আর তিরিপানোর আলোর মাঝেই নায়ক আফগানিস্তানের রশিদ খান। দুই ইনিংসে পেয়েছেন এগারো উইকেট; গেল তিন বছরে একাধিক ম্যাচে দশ উইকেট শুধুই রশিদ খানের। আফগানিস্তানের সামনে টার্গেট ছিল একশোর কিছু বেশি, খুব একটা সমস্যা হয়নি, ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় পেয়েছে আফগানিস্তান।

একদিকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটা দেশ, অন্যদিকে ভঙ্গুর ক্রিকেট কাঠামোর জিম্বাবুয়ে। দুই দেশই উপহার দিল দুর্দান্ত একটা টেস্ট। আফগানিস্তান জিতল, জিম্বাবুয়ে হারল; আদৌতে জিতল টেস্ট ক্রিকেট।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img