শুধু নিউজিল্যান্ড নয়, সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন হিসেবেই তিনি নন্দিত। খেলা ছাড়ার পর নিষিদ্ধ আইসিএলে খেলেছেন, সেখানে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের আরোপ লাগায় যথেষ্ট নিন্দিতও হয়েছিলেন। যদিও মাঠের লড়াইয়ের মতো নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের লড়াইয়েও তিনিই জিতেছিলেন, তবে ক্রিস কেয়ার্নস জীবনযুদ্ধে বোধহয় প্রায় হেরেই গেলেন।
এবছরের আগস্টে হৃদযন্ত্রের মেরুদন্ডে রক্ত সরবরাহকারী ধমনী ছিঁড়ে যায় কেয়ার্নসের, জীবন সংশয়ে পড়ে গিয়েছিলো সেখান থেকে চিকিৎসকেরা তাঁকে বাঁচিয়ে আনলেও জানা যায়, কোমরের নিচ থেকে সম্পূর্ণ অচল হয়ে গেছে কেয়ার্নসের শরীর। সেই অবস্থার এখনো বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি। তবে কেয়ার্নস জানান, কঠিন সত্যটা স্বীকার করে নিজের নতুন জীবনের সাথে মানিয়ে নিয়েছেন এই ৫১ বছর বয়সী।
লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক ইন্টারভিউতে কেয়ার্নস বলেছেন,
“আমি জানিনা আমি আর কোনদিন হাঁটতে পারবো কিনা। তবে আমার তাতে কোন সমস্যা নেই। আমি এখন হুইলচেয়ারে বসেই নিজের জীবনকে পরিপূর্ণরূপে উপভোগ করতে শিখছি। শুধুমাত্র এখন আমার জীবন একটু আলাদা হবে আগের চেয়ে, এই যা।”
'I may never walk again': Chris Cairns opens up on rehab https://t.co/6FgsebTMUI pic.twitter.com/vden08hSdI
— nzherald (@nzherald) December 2, 2021
ম্যাচ ফিক্সিং বিতর্কে সেসময় অনেকগুলো মামলা লড়েছেন ৬২ টেস্ট ও ২১৫ ওয়ানডে খেলা কেয়ার্নস। তাঁর বিরুদ্ধে তাঁর সতীর্থ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও লু ভিনসেন্ট সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই দুজনের সাথে মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিলো কেয়ার্নসের।
তবে এই দুর্ঘটনার পর ম্যাককালাম কেয়ার্নসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেয়ার্নস জানালেন, নতুন এই জীবনে কারো প্রতি কোন বৈরী মনোভাব রাখতে চাননা তিনি।
“কিছু সম্পর্ক আমার নষ্ট হয়েছে। সেগুলো এই ঘটনার পর আবার পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। সবাই আমার এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে যা আমার বেশ ভালো লেগেছে। ব্রেন্ডনের সাথে যদিও আমার সরাসরি দেখা বা কথা হয়নি তবে আমাকে শুভেচ্ছা জানানো তার ভদ্রতার একটি নিদর্শন ছিলো”