আহমেদাবাদ টেস্টে ফ্ল্যাডলাইটের আলোয় স্পিন বিষ নীল হয়েছে ইংল্যান্ড। আহমেদাবাদ টেস্ট শেষ হয়েছে দেড় দিনেই, উইকেটের সমালোচনায় ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটাররা। আহমেদাবাদেই সিরিজেই শেষ টেস্ট, সমালোচনা উপড়ে ফেলে ভারতকে স্পিন ট্রাক বানানোর পরামর্শ দিয়েছেন ভিভ রিচার্ডস।
আহমেদাবাদ টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ইংল্যান্ড করেছে ১৯৩ রান, দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সর্বনিন্ম স্কোর, ৮১। দুই দলের ৩০ উইকেটের ২৮টাই নিয়েছেন স্পিনাররা। কুক, ভনরা এই অবস্থায় শরানাপন্ন হতে বলেছেন আইসিসির।
Well said Yuvi ? https://t.co/Q6Nkcf6o5n
— Michael Vaughan (@MichaelVaughan) February 25, 2021
এশিয়াতে স্পিনিং উইকেট নিয়ে প্রশ্ন বেশ পুরনো। এশিয়ার বাইরের দলগুলো এশিয়াতে এলেই সেই পুরনো প্রশ্ন তুলে দেয়। অথচ এশিয়ার দলগুলো অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডে যখন যায় তখন স্পিরিট অব ক্রিকেট নিয়ে তেমন কোনো কথা হয় না। অজি-ইংলিশরা ঠিকই পেস বান্ধব উইকেট বানিয়ে হোম এডভান্টেজ় নেয়।
ভিভ রিচার্ডস ইংল্যান্ডের সাবেকদের এমন কথাবার্তায় বিরক্ত, অন্তত তার কথায় সেটা স্পষ্ট। ভারতকে চতুর্থ টেস্টেও স্পিনিং উইকেট বানানোর পরামর্শ দিয়েছেন ক্যারিবিয়ান সাবেক এই ক্রিকেটার।
কিছুদিন ধরেই ভারত-ইংল্যান্ড ২ নম্বর এবং ৩ নম্বর টেস্ট নিয়ে আমার কাছে প্রশ্ন করা হচ্ছে। আমার মনে হয় এই নিয়ে এত কান্নাকাটি করার কিছু নেই। কারণ যখন ‘পেইসবান্ধব উইকেটে খেলা হয় তখন যখন বল লাফিয়ে উঠে তখন ব্যাটম্যানরা সেটা মোকাবেলা করতে না পারলে সেটাকে ব্যাটসম্যানদের সমস্যা বলেই বিবেচনা করা ইংল্যান্ডের এটা মাথায় রাখা উচিত যে চতুর্থ টেস্টেও স্পিনিং উইকেট থাকতে পারতে। ভারতের জায়গায় আমি থাকলে সেটাই করতাম।
নিজের ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ারে ভিভ কখনও আপোস করেননি। মেরুন টুপি আর চুইংগাম ছিল তার ট্রেডমার্ক। নিজের ব্যাটিংয়ে বোলারদের যেভাবে শাসন করেছেন ঠিক সেভাবেই তিনি ভাববেন সেটাই হয়তো স্বাভাবিক। কিন্তু যারা মাঠে খেলছেন প্রশ্ন তোলার অধিকারতো তাদেরও আছে।