বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) রেলিগেশন লিগের খেলায় পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ২৩ রানে হারিয়েছে ওল্ড ডিওএইচএস। কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিতীয় দ্রুততম টি-টুয়েন্টি সেঞ্চুরি করেও পারটেক্সকে জেতাতে পারেননি হাসানুজ্জামান।
পারটেক্সের লক্ষ্য ছিল ২০০, বড় লক্ষ্যে তাদের শুরুটাও হয়েছে বরাবরেরই মতো নাজুক। ইনিংসের প্রথম বলেই রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন সায়েম আলম, তাকে ফিরিয়েছেন আবদুর রশিদ। দুই বল পর আবারো রশিদের আঘাত, উইকেট রক্ষক প্রীতম কুমারের ক্যাচ বানিয়ে জনি তালুকদারকে ফিরিয়েছেন তিনি। তারপর ওপেনার হাসানুজ্জামানের সঙ্গে হাল ধরেন আব্বাস মুসা। হাসানুজ্জামান ফিরেছেন ১৬ তম ওভারে। দুইশর বেশি স্ট্রাইক রেটে করেছেন সেঞ্চুরি, তবুও দলকে জেতাতে পারেননি।
ওল্ড ডিওএইচএসের বোলারদের উপর রীতিমতো ছক্কা বৃষ্টি বইয়ে দিয়েছেন হাসানুজ্জামান। আসরের সর্বোচ্চ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা পারটেক্স ঐ হাসানুজ্জামানের ব্যাটেই দেখেছিল জয়ের স্বপ্ন। হাসান যতক্ষন ছিলেন, আশাও বেঁচেছিল। হাসান আউট হতেই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে ওল্ড ডিওএইচএস। ৫২ বলে ৭ ছক্কায় করেছেন ১০৫! তাকে ফিরিয়েছেন সেই আবদুর রশিদ। চার ওভারে ৩৪ রানে রশিদ নিয়েছেন ৩ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ওল্ড ডিওএইচএসের সঙ্গে পারটেক্সের ব্যাবধান ২৩ রানের।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ওল্ড ডিওএইচএস। শুরুটাও হয় দুর্দান্ত। ইনফর্ম ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন এদিনও ছিলেন আক্রমনাত্মক। সপ্তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ২৩ বলে করেছেন ৩৪। বেশিক্ষন টিকতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। চার নম্বরে নামা অধিনায়ক মোহাইমিনুল খানকে নিয়ে ঝলক দেখাতে শুরু করেন রাকিন আহমেদ।
রাকিন এবং মোহাইমিনুল, দুজনেই ছিলেন অপরাজিত। দুজনেই তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। তবে রান এবং স্ট্রাইক রেট, দুটোতেই এগিয়ে ছিলেন রাকিন আহমেদ। দেড়শর বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা রাকিন জাগিয়েছিলেন শতকের আশা। ৫৮ বলে অপরাজিত ছিলেন ৯২ রানে। প্রায় দেড়শ স্ট্রাইক রেটে অধিনায়ক মোহাইমিনুল করেছেন ঠিক ৫০ রান। ফলে আবাহনীকে টপকে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এখন ওল্ড ডিওএইসচএসের। দুই উইকেট হারিয়ে তারা বোর্ডে তুলেছিল ১৯৯। ম্যাচসেরা ৯২ রানে অপরাজিত থাকা রাকিন আহমেদ।