বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট হয়ে এসে এক ম্যাচ হাতে রেখেই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত। তাও শেষ ম্যাচটি আবার টুর্নামেন্টের সহজতম দলগুলির একটির বিপক্ষে, যে ম্যাচে যদি টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানেও জেতে ভারত, তবুও সেমিফাইনালে যেতে পারবে না তারা। ভারতের মতো পরাশক্তি দলের জন্য তো এটি রীতিমতো লজ্জা ও অপমানের।
তবুও নামিবিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামলো পুরো শক্তির একাদশ। এর কারণও আছে। এই ‘ডেড রাবার’ ম্যাচটিরও আছে আলাদা তাৎপর্য। এই ম্যাচটিই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে ভিরাট কোহলির শেষ ম্যাচ, কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীরও শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচের পর থেকে শুধু টি-টোয়েন্টি নয়, ভারতীয় ক্রিকেটেই শুরু হবে নতুন এক যুগ এই ম্যাচটিকে তাই বলা যায় পুরাতন যুগের শেষ ‘মাইলফলক’।
এমনই এক ম্যাচে টসে জিতে বোলিং নিয়ে স্পিনারদের ঘূর্ণিজাদুতে নামিবিয়াকে ১৩২ রানে বেঁধে ফেলেছে ভারত। ৪.৪ ওভারে নামিবিয়ার ওপেনারদের ৩৩ রানের জুটি ভাঙ্গেন জাসপ্রিত বুমরাহ। পরের ওভারেই রবীন্দ্র জাদেজাকে ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে মারতে গিয়ে সহজ স্টাম্পিংয়ের শিকার হন ক্রেইগ উইলিয়ামস। দশ ওভারের মধ্যে আরো দুজন নামিবিয়ার ব্যাটসম্যান ফিরে যান। এরপর গেরহার্ড ইরাসমাস ও ডেভিড উইজার ব্যাটে সামান্য প্রতিরোধ গড়ে নামিবিয়া। যদিও ভারতীয় বোলারদের এলোমেলো বোলিংয়ের হাত ছিল সেখানে; ইরাসমাস-উইজার জুটি থেকে আসে ২৮ রান। বরাবরের মতো ডেভিড উইজাই নামিবিয়ার হয়ে ব্যাট হাতে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন, তবে শেষ করে আসতে পারেননি। বুমরাহর বলে আউট হওয়ার আগে করেছেন ২৪ বলে ২৬ রান। শেষ ওভারে রুবেন ট্রাম্পেলম্যান একাই খেলে ১৩ রান নেন তাতে ১৩০ পেরোয় নামিবিয়া।
ভারতের হয়ে ৩ উইকেট করে নেন দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা ও রবীচন্দ্রন আশ্বিন।