পাড়ার সমবয়সীদের সাথে ধুলোমাটি মিশিয়ে রাস্তাঘাটে ক্রিকেট খেলা, পছন্দের দলের ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হলেই পড়া ফাঁকি দিয়ে টিভির সামনে বসে পড়া, রাতজেগে বড় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখা- ক্রিকেটকে ঘিরে একজন গড়পড়তা ১২ বছর বয়সী বাচ্চার জীবন তো এভাবেই আবর্তিত হয়। কিন্তু ভাবুন তো, বারো বছর বয়সে যদি আপনাকে দায়িত্ব দেওয়া হতো নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজের জাতীয় দলের জার্সি ডিজাইন করার, কি অনুভূতি হতো আপনার? স্বপ্নের মতো লাগতো না বিষয়টি?
সেই স্বপ্ন সত্য হয়ে ধরা দিয়েছে রেবেকা ডাউনির জন্য, বলা যায় সত্য করে দেখিয়েছে স্কটিশ এই ক্ষুদে ডিজাইনার বালিকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ড জাতীয় দলের সদস্যদের গায়ে যে জার্সি শোভা পাচ্ছে, তা ডিজাইন করেছে রেবেকা। যা ক্রিকেট অনুরাগীদের চোখে এই বিশ্বকাপের সুন্দরতম জার্সিগুলোর একটি হিসেবে চর্চিত।
Scotland's kit designer 👇
12 year-old Rebecca Downie from Haddington 👋
She was following our first game on TV, proudly sporting the shirt she designed herself 👏
Thank you again Rebecca!#FollowScotland 🏴 | #PurpleLids 🟣 pic.twitter.com/dXZhf5CvFD
— Cricket Scotland (@CricketScotland) October 19, 2021
স্কটল্যান্ডের হ্যাডিংটন নিবাসী এই স্কুল বালিকাকে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই সুন্দর জার্সিটি ডিজাইন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। তাদের অফিশিয়াল টুইটার ও ফেসবুক পেইজে রেবেকার একটি ছবি পোস্ট করে তারা রেবেকার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে স্কটল্যান্ডের প্রথম ম্যাচ চলাকালীন টিভির সামনে একগাল হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রেবেকা, তার পরনে নিজের ডিজাইন করা জার্সি।
স্কটল্যান্ড যে রেবেকার জার্সিটি পড়েই বিশ্বকাপে যাবে, তা ক্রিকেট স্কটল্যান্ড ঘোষণা করে দিয়েছিল অক্টোবরের শুরুতেই। এই জার্সিটি ডিজাইন করার জন্য একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ক্রিকেট বোর্ড, যাতে জয়ী হয়েছিলো রেবেকা। সারা দেশ থেকে ২০০ জন স্কুলপড়ুয়া শিশুকিশোরদের ডিজাইন থেকে সর্বসম্মতিক্রমে রেবেকার ডিজাইন বাছাই করেছেন স্বয়ং স্কটল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। স্কটল্যান্ডের জাতীয় প্রতীক ‘থিস্টল’ ফুলের রং প্রাধান্য পেয়েছে এই জার্সিতে।
প্রতিযোগিতার বিজয়ী হিসেবে রেবেকার পরিবারকে ‘বিশেষ অতিথি’ হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্কটল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখার আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রথম জার্সিটি।
“আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম যখন জানতে পেরেছিলাম যে আমি প্রতিযোগিতাটি জিতেছি। জার্সিটি নিজের চোখে দেখতে পেয়ে আমি খুবই উচ্ছ্বাসিত ছিলাম। খুবই অসাধারণ দেখাচ্ছে এটি। দলের সদস্যদের সাথে দেখা করতে পারার ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাঁদের খেলতে দেখার অনুভূতিটি অসাধারণ ছিল। আমি বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই আমার জার্সিটি পরে আমার দলকে চিয়ার করবো”- জানিয়েছেন রেবেকা।