বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচ, তার উপর দল দুটি যখন ফরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সমর্থকরা দারুণ এক ম্যাচ দেখার আশা করে মাঠে এসেছিলেন, কিন্তু কাইল মেয়ার্স-তামিম ইকবালরা তা আর হতে দিলেন কই! দুই বাঁহাতির আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেট আর ৩১ বল হাতে থাকতেই জিতেছে বরিশাল।
১৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় বরিশাল। তবে আরেক ওপেনার তামিম শুরু থেকেই খেলেছেন আক্রমণাত্মক, প্রথম ১০ বলে ২১ রান করেন তিনি। তিন নম্বরে উইকেটে আসা মেয়ার্স শুরুতে একটু দেখেছেন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে ততই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন, শুভাগত হোমের এক ওভার থেকেই তুলেছেন ২৬ রান। ২৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন মেয়ার্স। এর পরের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।
মেয়ার্স ফেরার পর তামিমও তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ৪১ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন বরিশাল অধিনায়ক। চলমান বিপিএলে এটি তামিমের তৃতীয় ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৪৩ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৫২ রান করে দলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।
চট্টগ্রামের হয়ে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন শুভাগত হোম, রোমারিও শেফার্ড ও বিলাল খান।
এর আগে প্রথম ইনিংসে জশ ব্রাউনের ২২ বলে ৩৪ ও শুভাগত হোমের ১৬ বলে ২৪ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম।
টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম। তাদের লক্ষ্যটা পরিস্কার, যতটা কম রানে সম্ভব চট্টগ্রামকে আটকে দেওয়া। সেই লক্ষ্যে বরিশালকে শুরুতেই উইকেট এনে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। চট্টগ্রামের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে ফেরান তিনি।
তবে বন্দর নগরীর দলটির আরেক ওপেনার জশ ব্রাউন খেলছিলেন দারুণ। ২ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কা মেরে দিচ্ছিলেন বড় ইনিংস খেলার ইঙ্গিত। কিন্তু অতিআক্রমণাত্মক হতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন তিনি। ওবেদ ম্যাকয়ের বলে ডেভিড মিলারকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে করেছেন ২২ বলে ১৫৪.৫৪ স্ট্রাইকরেটে ৩৪ রান।
টম ব্রুস-সৈকত আলী-রোমারিও শেফার্ডরা চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। অধিনায়ক শুভাগত খেলেছেন ১৬ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৪ রানের ইনিংস। শেষের দিকে আর কোনো ব্যাটার তেমন কিছু করতে না পারলে ১৩৫ রানে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস।
বরিশালের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন কাইল মেয়ার্স, ওবেদ ম্যাকয় ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম ও জেমস ফুলার।