প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ থাকার পরেও জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ছোট্ট সংগ্রহ নিয়েও দারুণ জয় পেল রোডেশিয়ানরা। হারারেতে পাকিস্তানকে স্বাগতিকরা হারিয়েছে ১৯ রানে। সূচী অনুযায়ী সিরিজ নির্ধারনী শেষ টি-টোয়েন্টি ২৫ এপ্রিল।
জিম্বাবুয়ে দলে ফিরেছিলেন টেইলর তবে ছিলেন না আরভিন আর উইলিয়ামস। দুজনের অনুপস্থিতি জিম্বাবুয়েকে ভোগাতে পারতো, ভুগিয়েছেও হয়তো। নির্ধারিত ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে জিম্বাবুয়ে তুলেছে ১১৮ রান, ওপেনার কামুনহুকামউইয়ের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৩৪ রান, ৪০ বলে।
পাকিস্তানের হয়ে মোহম্মদ হাসনাইন এবং ড্যানিশ আজিজ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। অন্য যারা বল হাতে নিয়েছেন সবাই উইকেটের দেখা পেয়েছেন।
তুলনামূলক ছোট লক্ষ্য, তবে কঠিন ছিল হারারের উইকেট। মোহম্মদ রিজওয়ান বেশিক্ষণ উইকেটে স্থায়ী হতে পারেননি, ছিলেন অধিনায়ক বাবর আজম। রান করেছেন তবে ধীরগতিতে, হয়তো ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝেই। অধিনায়ক করেছেন ৪১, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান এসেছে ড্যানিশ আজিজের ব্যাট থেকে, পাকিস্তান অল আউট হয়েছে নিরানব্বই রানে।
জিম্বাবুয়ের হয়ে জংউই নিয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া রায়ান বার্লের উইকেট ২। কিছুদিন আগে সাউথ আফ্রিকায় দারুণ একটি সফর শেষের পর মুদ্রার উল্টো-পিঠও দেখা হয়ে গেল পাকিস্তানের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ১১৮/৯ (২০ ওভার) (কামুনহুকামউই ৩৪, মাধেভেরে ১৬, চাকাভা ১৮, মুসাকান্দা, মোহম্মদ হাসনাইন ৪-০-১৯-২, ফাহিম ২-০-১০-১, আরশাদ ৪-০-১৬-১, রউফ ৩-০-১০-১, উসমান ৪-০-২৮-১, আজিজ ৩-০-২৯-২)।
পাকিস্তান: ৯৯ (১৯.৫ ওভার) ( মোহম্মদ রিজওয়ান ১৩, বাবর আজম ৪১, ড্যানিশ আজিজ ২২, মোহম্মদ হাসনাইন ০*, আরশাদ ০, জংউই ৩.৫-০-১৮-৪, মাধেভেরে ৩-০-১৬-০, বার্ল ৪-০-২১-২)।