আগ্রহের বিচারে ক্রিকেট বাংলাদেশের এক নম্বর খেলা, সুযোগ-সুবিধার বিচারেও তাই। সেখানে ক্রিকেট কখনোই জাপানিজদের প্রথম পছন্দের খেলা না, বিশ্বমঞ্চেও দেশটি কখনো খেলতে পারেনি। তাই কাগজে-কলমে দুইদলের পার্থক্যও অনেক! জাপানের চেয়ে বাংলাদেশ দল যে যোজন-যোজন এগিয়ে, সেটাই যুব এশিয়া কাপে বুঝিয়ে দিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বেশ বড় ব্যবধানে হারানোর পর সোমবার দুবাইয়ে আইসিসি অ্যাকাডেমি মাঠে জাপানের মুখোমুখি হয় মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল। টস জিতে অধিনায়ক রাব্বি শুরুতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। বোলিং ইনিংসে দারুণ টিম পারফর্ম্যান্সে জাপানকে মাত্র ৯৯ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। সেই রান তাড়া করতে যুব টাইগাররা সময় নেয় মাত্র ১১ ওভার ২ বল। ফলে ৯ উইকেটের বড় জয় পায়, আর তাতেই গ্রুপ-বি’র পয়েন্ট তালিকার সবার উপরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
বাংলাদেশ ভালো বোলিং করেছে এটা জাপানকে ৯৯ রানে অল আউট হতে দেখেই বোঝা যায়। কিন্তু রাব্বিরা ঠিক কতখানি ভালো বোলিং করেছেন? এটা বোঝাবে স্কোর কার্ড! এই ৯৯ রান করতে জাপানের লেগেছে ৪৭ ওভার ১ বল, রান রেট মাত্র ২.০৯! কোনো ব্যাটার ফিফটি করতে পারেননি, উল্টো মাত্র ৩ জন ব্যাটার পৌঁছেছেন দুই অংকের ঘরে।
হাত ঘোরানো ৭ বোলারের সবাইই উইকেট পেয়েছেন, এর মধ্যে দলের সেরা বোলার অধিনায়ক রাব্বি, একই সাথে তিনি দলের সবচেয়ে ইকোনমিক্যাল বোলারও। ৮ ওভার ১ বল করে ৩ মেডেনে মাত্র ৯ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। আর মাত্র একজন বোলার ২ উইকেট পেয়েছেন, আরিফুল ইসলাম। এই অফস্পিনার ২ উইকেট নিতে খরচ করেছেন ১৫ রান, করেছেন ৭ ওভার। বাকি সবাইই একটা করে উইকেট পেয়েছেন।
আগের ম্যাচে দারুণ এক ফিফটি করেছিলেন ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি। এই ম্যাচেও ফিফটি পেয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। আগের ম্যাচের ফিফটিটা অনেক ধীরগতিতে এলেও, এই ম্যাচে ছিলেন খুবই আক্রমণাত্মক। ৪৩ বলে ফিফটি পূরণ করা শিবলি অপরাজিত থাকেন ৪৫ বলে ৫৫ রান করে। আরেক ওপেনার জিসান আলম ১৬ বলে করেন ২৯ রান, তিনে নামা রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ১০ রান করে।