ইউয়েফা ইউরো বাছাইয়ের ম্যাচে জিব্রাল্টারের জালে ১৪ গোল দিয়েছে ফ্রান্স। দিদিয়ের দেশমের দলের হয়ে স্কোরশীটে নাম লিখিয়েছেন ১০ জন খেলোয়াড়।
ফ্রান্সের হয়ে হ্যাট্রটিকের দেখা পেয়েছেন তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। ৪৬ গোল নিয়ে তিনি এখন ফ্রান্সের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। তার উপরে আছেন শুধু থিয়েরি অঁরি (৫১) ও সতীর্থ অলিভিয়ের জিরু (৫৬)। অভিষেকেই গোল করে ১৯১৪ সালের পর ফ্রান্সের সবচেয়ে কম বয়সী স্কোরার হওয়ার কীর্তি গড়েন ওয়ারেন জাইরে-এমেরি। ১৭ বছর বয়সী এই তরুণই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রান্সের হয়ে খেলা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার।
এছাড়াও জোড়া গোল করেছেন অলিভিয়ের জিরু ও কিংসলে কোম্যান। একটি করে গোল করেছেন মার্কাস থুরাম, জোনাথান ক্লস, ইউসুফ ফোফানা, আদ্রিয়ান র্যাবিও ও ওসমান দেম্বেলে। বাকি গোলটি ইথান স্যান্তোসের আত্মঘাতী।
ইউরোর বাছাই পর্বে এটিই সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়ের রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ৪ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ছিল জার্মানির দখলে। ২০০৬ সালের ইউরোর বাছাইয়ে সান ম্যারিনোর জালে ১৩ গোল দিয়েছিল জার্মানি।
জিব্রাল্টারের জালে ১৪ গোল দেওয়ার পর সন্তুষ্ঠি ঝড়েছে কোচ দেশমের কন্ঠে। তিনি বলেন, “১১ জনের বিপক্ষে ১০ জনের গোল। এটি তাদের জন্য কঠিন। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব এমনকি আমরা যদি আরও দক্ষ হতাম তাহলে আরও গোল হতে পারত। তবে ১৪ সংখ্যাটা খারাপ না”
এই জয়ে ৭ ম্যাচ থেকে শতভাগ জয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপে টেবিলের শীর্ষে ফ্রান্স। সমান ম্যাচে ৫ জয় ও ২ হারে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে নেদারল্যান্ডস। আর ৭ ম্যাচে শতভাগ হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে জিব্রাল্টার।