রোমেলু লুকাকু আগেও তিন বছর কাঁটিয়েছেন চেলসিতে। ২০১১/১২ মৌসুমে চেলসিতে বেলজিয়ামের প্রায় সব তারকা খেলোয়াড়ই খেলেছেন; আন্ডারলেখট থেকে তখন ১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো দিয়ে লুকাকুকেও দলে ভিড়িয়েছিল চেলসি। কিন্তু ১৮ বছর বয়সী লুকাকু তিন বছরে মাঠেই নামার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ১০টি ম্যাচে; চেলসির হয়ে পাননি কোন গোলের দেখা। লুকাকু আবার যখন চেলসিতে ফিরছেন, ততদিনে পেরিয়ে গেছে ৮টি বছর। কিন্তু আত্মবিশ্বাসটা তার এখনও তুঙ্গে।
“জীবনে পরিণত হওয়াটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমার ধারণা, গত কয়েক বছরে আমি অনেক কিছু শিখেছি; নিজেকে আরও ভালভাবে জেনেছি”-বলছিলেন লুকাকু
ইংল্যান্ড আর ইতালির খেলার ধরণ যে ভিন্ন সেটাও জানিয়েছেন লুকাকু। সেইসাথে জানিয়েছেন এইমুহুর্তের পরিকল্পনা এবং দলের হয়ে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুতির কথাও।
“ইতালিতে খেলার ধরণটা কিছুটা অন্যরকম। ওখানকার খেলাটা অনেক বেশি প্রযুক্তিগত এবং কৌশলের; যা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। ইংলিশ খেলাটা সেইদিক থেকে বেশ ভিন্ন, কিন্তু আমার কাছে এটা নতুন কিছু নয়। আমি কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোতে চাই। কোচের চিন্তাভাবনার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে চাই এবং দলের জয়ে অবদান রাখতে চাই”
“আমি এমন একজন যে সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি সবাইকে উৎফুল্ল রাখতে পছন্দ করি এবং চেষ্টা করি অনুপ্রাণিত করার। আপাতত, আমি আমার সতীর্থদের আরও ভালভাবে জানতে চাই। তারপর, দিনের শেষে যদি দলের ম্যানেজার চান, আমার মনে হয় আমি মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত” -ইতালির খেলার ধরণ এবং নিজের দলে ফেরা নিয়ে লুকাকু
চেলসির আক্রমণভাগকে শক্তিশালী করতেই ১১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো খরচ করে ইন্টার মিলান থেকে লুকাকুকে আনা; দেয়া হয়েছে ৯ নম্বর জার্সিটাও। যেকোন স্ট্রাইকারের কাছেই ৯ নম্বর জার্সিটা পরম আরাধ্যের। যেই খেলোয়াড়ের থেকে দল সবচেয়ে বেশি গোল আশা করে, তাকেই তো দেয়া হয় ৯ নম্বর জার্সিটা। যুগ যুগ ধরে এমনটাই তো হয়ে এসেছে; এবার দেখার পালা লুকাকু ৯ নম্বর জার্সির চাপটা কতটা নিতে পারেন! গোল সংখ্যা বাড়াতেই যে লুকাকুকে চেলসিতে আনা!