স্কটল্যান্ডের সাথে হেরে এইমুহুর্তে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। এটা অস্বীকার করার কোনোই উপায় নেই। টাইগাররা যে বাকি দুই ম্যাচে মাঠে নামার আগে আছেন বেশ চাপে, সেটা অনুমান করাই যায়। একটা ভুলেই হতে পারে বিপদ, ছিটকে যেতে হতে পারে বিশ্বকাপ থেকেই। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হেরে যে টাইগারদের প্রেশার নিয়েই খেলতে হবে স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন, “আমরা তো প্রেশারে এখন। এই প্রেশারটা থাকবেই। প্রেশার নিয়েই আমাদের ম্যাচটা খেলতে হবে”
চাপ থাকলেও সুজন চান পজিটিভ এবং আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলুক টাইগাররা, “আমাদের ভুলগুলো কমাতে হবে। আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে হবে। এখনও আমি চাই বাংলাদেশ পজিটিভ এবং আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলুক”
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টসে জিতে বাংলাদেশ ফিল্ডিং কেন করলো সেটাও বোধগম্য নয় খালেদ মাহমুদ সুজনের, “টসে জিতে ব্যাটিং করতে পারতো। প্রেশার ম্যাচে আমরা কেন চেজ করবো? আমরা যদি একটা বড় রান করে দিতে পারতাম, তাহলে কোনো প্রেশার ছাড়াই হয়তো সেটা ডিফেন্ড করতে পারতাম”
স্কটিশদের সাথে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে বেশ হতাশ সুজন। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং দেখে নাকি তার মনেই হয়নি বাংলাদেশ জিততে যাচ্ছে। মাঝখানে মুশফিকের টানা দুই ছক্কা আশা জাগালেও আবারও পিছিয়ে পড়েছে টাইগাররা,“ব্যাটিংয়ের সময় মনে হয়নি বাংলাদেশ জিততেছে। সবসময়ই আমরা পিছিয়েই ছিলাম। মোমেন্টামটা ধরতে পারিনি। মুশফিকের এক ওভারে দুইটা ছয়ে একটু সময় হলেও আগালো, তারপর আবার পিছিয়ে গেলাম”
শুরুর বিপর্যয় সাকিব আল হাসান-মুশফিকের ব্যাটে কাটিয়ে উঠলেও, পরপর দুজনেরই আউট হয়ে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না বিসিবির এই পরিচালক,“৮৬ বলে ৮১ রান প্রয়োজন। দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তো একটা পার্টনারশিপের প্রয়োজন ছিলই। তখন সাকিব আর মুশি যেটা করেছে আমি বলবো না এটা খারাপ। কিন্তু ওদের পরপর দুজনের আউট হয়ে যাওয়াটা ক্রাইম। সাকিব ২৮ বলে যখন ২০ রানে আউট হয় তখন সেটা ক্রাইম। ঐখান থেকে সাকিব নেক্সট ১২ বল, ১৫ বল খেলে ২০,২৫,৩০ রান করে দিলে কিন্তু খেলাটা সুন্দর বেড়িয়ে যেতো। ও এটা করে এসেছে আগেও। আমরা প্রত্যেকেই জানি সাকিব, মুশফিক, রিয়াদের সেই সামর্থ্য আছে”
দলের অতিরিক্ত রান দেয়াটাও ভালো দিক হিসেবে নিচ্ছেন না সুজন, “এই ফরম্যাটে আমরা একস্ট্রা দিতে পারবো না। পাঁচটা একস্ট্রা বল করেছি। চারটা ওয়াইড, একটা নো বল। এই পাঁচটা রান তো বেশি হয়েছেই, প্লাস এই পাঁচটা বলে আরো কত রান বেশি হয়েছে হিসেব করেন”