মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে নিউজিল্যান্ড। টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে স্বাগতিক বোলারদের তোপের মুখে পড়ে মাত্র ৬০ রানেই গুটিয়ে গেছে সফররতরা। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ফলে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় পড়েছে কিউইরা।
টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিউই অধিনায়ক টম লাথাম। তার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল তা প্রমান করতে এক ওভারও সময় নেননি বাংলাদেশের হয়ে বোলিং শুরু করা শেখ মাহেদি হাসান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়েছিলেন মাহেদি, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সিরিজের আগে আলোচনা হচ্ছিল রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে। অভিষেকেই রবীন্দ্র ফিরেছেন গোল্ডেন ডাকে। ম্যাচের তৃতীয় বলেই নিজের বলে নিজে ক্যাচ নিয়ে তাকে ফিরিয়েছেন মাহেদি।
ম্যাচের শুরু থেকেই ধীর মন্থর এই মিরপুরের পিচে টার্ন পাচ্ছিল বাংলাদেশী স্পিনাররা। টার্ন করা বলগুলাতে বেশ কয়েকবারই বোকা বনতে দেখা গেছে কিউই ব্যাটসম্যানদের। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে প্রায়ই নিজের প্রথম ওভারে উইকেট নিয়েছিলেন সাকি, কিউইদের বিপক্ষেও তার ব্র্যাত্যয় ঘটেনি। নিউজিল্যান্ড ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাকিবের বলে ইনসাইড এইজ হয়ে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন উইল ইয়ং।
পরের ওভারে দৃশ্যপটে আগমন নাসুম আহমেদের, নাসুমকে সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে নাইম শেখের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। সেই ওভারের পঞ্চম বলে আবারও সুযোগ তৈরি করেছিলেন নাসুম। লাভ হয়নি। যদিও পরের বলেই টম ব্লান্ডেলকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফিরেয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
শুরুর চাপ সামাল দিয়েছেন হ্যানরি নিকোলস এবং অধিনায়ক টম লাথাম। ইনিংসের ১১তম ওভারে মোহম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন লাথাম। ৪৩ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে নিউজিল্যান্ড। পরের ওভারেই পর সাকিব আল হাসানের বলে ফিরে গেছেন আরেক অভিষিক্ত কোলে ম্যাকঞ্চি। তার ক্যাচ নিয়েছনে মুশফিকুর রহিম, মুশফিকের ক্যাচের পর দলের সবার মুখে যে হাসি ছিল ওটাই মূলত দলের ভেতরের পরিবেশের আভাস।
শেষ পর্যন্ত কিউইরা অলআউট হয় ৬০ রানে। সর্বোচ্চ ১৮ করেছেন অধিনায়ক লাথাম, ১৮ এসেছে নিকোলসের ব্যাট থেকে। আর কেউই যেতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে। ১২ রানে মুস্তাফিজের শিকার ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব-নাসুম-সাইফউদ্দিন।