মাত্র ১২৯ রান টার্গেট, তবুও ম্যাচের আঠারোতম ওভার শেষে জয় নিয়ে শঙ্কায় সিলেট স্ট্রাইকার্স! তাসকিন আহমেদের দুই ওভারের দুর্দান্ত স্পেলটাই মূলত তখনও ঢাকাকে টিকিয়ে রেখেছে লড়াইয়ে। ১৬ এবং ১৮তম ওভারে বল করতে এসে মাত্র ৮ রান খরচে নিয়েছেন ২ উইকেট, পুরো ম্যাচে খরচ করেছেন ১২। টাইগার পেসারের ওভার শেষে ১২ বলে ২০ রানের লক্ষ্যটাকেও তখন বেশ বড় মনে হচ্ছিলো। কিন্তু পরের ওভারেই হার হয়েছে প্রায় নিশ্চিত; আগের তিন ওভারে ১৯ রান দেয়া সালমান ইরশাদ এক ওভারেই দিয়েছেন ১৮!
ছয় বলে দুই রান প্রয়োজন, সৌম্যকে দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে ১১ বলে ২১* রান করা থিসারা পেরেরা জানান দিলেন এখনও ফুরিয়ে যাননি। সিলেটের ৫ উইকেটের জয়ে আকবর আলীর ৫ বলে ১০* রানের ইনিংসটাকেও ছোট করে দেখার সুযোগ নাই। দিনশেষে ম্যাচসেরা অবশ্য দুজনের কেউই না, এমনকি ৪৪ রান করা মোহাম্মদ হ্যারিসও না; ঢাকা-সিলেট ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ইমাদ ওয়াসিম, বল হাতে ২০ রানে ৩ উইকেটের সাথে ব্যাট হাতে ১১ রান!
টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে টেবিল টপ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। অপরদিকে মাত্র এক ম্যাচ জিতে পয়েন্টস তালিকার ৫ নম্বরে ঢাকা, আছে বাদ পড়ার শঙ্কা। তবে তাসকিনের বোলিংয়ের পাশাপাশি নাসির হোসেনের অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্সে এখনও পরের রাউন্ডে যাবার স্বপ্ন দেখতেই পারে ঢাকা ডমিনেটরস। ব্যাট হাতে সিলেটের বিপক্ষে ৩৯ রানের পাশাপাশি বল হাতে ২ উইকেট, দারুণই বটে। কিন্তু এক-দুইজনে নির্ভর করে কতোদূর যাওয়া যায়? সৌম্য সরকার-মোহাম্মদ মিঠুনের সাথে বিদেশিরা ব্যাটাররাও ডুবে আছেন ব্যর্থতায়!