শুরুতে মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেট, নাঈম শেখ ও লিটন কুমার দাশের সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে না পারা। এরপর সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ফিফটিতে বড় সংগ্রহের পথে থাকা বাংলাদেশ হারিস রউফ ও নাসিম শাহর তোপে অলআউট হয়েছে ১৯৩ রানে।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি দুই ওপেনার। আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে দারুণ সেঞ্চুরি করা মিরাজ করেছেন হতাশ। দ্বিতীয় ওভারে নাসিম শাহর প্রথম বলেই লেগ সাইডে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়ে শূণ্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি নাঈম। ২৫ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২০ রান করে হারিস রউফের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এই এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা লিটনও পারেননি বড় রান করতে। ১৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ১৬ রান করে ফেরেন তিনি।
আগের দুই ম্যাচে ২০ ও ০ রান করা তাওহীদ হৃদয় এদিনও ফিরেছেন দ্রুত। তবে উইকেটে আসা মুশফিককে সাথে নিয়ে ইনিংস মেরামতের দিকে নজর দেন সাকিব। দুজনে মিলে গড়েন ১০০ রানের জুটি। এরপরই ঘটে ছন্দপতন। ফাহিম আশরাফকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক।
উইকেটে এসে শুরুটা ভালো করেছিলেন শামিম হোসেন পাটোয়ারী। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ছক্কা মেরে দিচ্ছিলেন দারুণ ইঙ্গিত। কিন্তু তিনিও ফিরেছেন ইনিংস বড় করতে না পারার হতাশা নিয়ে। এরপর হারিস রউফের উপর চড়াও হতে গিয়ে মুশফিক ৮৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৬৪ রান করে ফিরলে বড় সংগ্রহের আশা শেষ হয় বাংলাদেশের। শেষে এসে ভালো কিছু করতে পারেননি আফিফ হোসেনও। আর তাতেই ১৯৩ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস।
পাকিস্তানের হয়ে ৬ ওভারে ১৯ রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করেছেন হারিস রউফ। নাসিম শাহ নিয়েছেন তিনটি। এছাড়াও একটি করে উইকেট পেয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফ ও ইফতিখার আহমেদ।