মেয়েদের অলিম্পিক ফুটবলে টানা দুই ম্যাচ জিতেও কানাডার পয়েন্টের খাতা শূন্য। হ্যা ঠিকই পড়েছেন, অলিম্পিক ফুটবল শুরু হওয়ার আগে নিউজিল্যান্ড নারী দলের অনুশীলনে ড্রোন চালিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কারণে কানাডা নারী দলের হেড কোচ ও সহকারী কোচকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। সেই সাথে কানাডার ছয় পয়েন্ট কেটে নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারানোর পর কানাডা যে তিন পয়েন্ট পেয়েছিল তা তাদের নামের পাশে যোগ হয়নি। উল্টো আরও তিন পয়েন্ট শোধ দিতে হতো তাদের। গতকাল স্বাগতিক ফ্রান্সকে হারিয়ে সেটি শোধ দিয়েছে কানাডার মেয়েরা। দুই ম্যাচে পাওয়া ছয় পয়েন্ট কেটে নেওয়ায় কানাডার পয়েন্ট এখন শূন্য। তাতেই পরের রাউন্ডে যাওয়া নিয়ে তৈরী হয়েছে শঙ্কা।
কানাডা তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে। এই ম্যাচ জিতলে পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখবে তারা। অলিম্পিকে নারীদের ফুটবলে অংশগ্রহণ করে মোটে ১২ দল। তিন গ্রুপ থেকে প্রথম দুটি দল ছাড়াও তৃতীয় সেরা দুটি দল যাবে শেষ আটে। কলম্বিয়ার বিপক্ষে জিতলে কানাডার পয়েন্ট হবে ৩। সেক্ষেত্রে পরের রাউন্ডে যাওয়ার খুব ভালো সম্ভাবনা থাকবে তাদের।
তবে ড্রোন কান্ডে পয়েন্ট কেটে নেওয়ার বিষয়টি মানতে পারছেন না কানাডার ফুটবলাররা। ফ্রান্সের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ের ১২তম মিনিটে কানাডাকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন ভ্যানেসা জাইলস। ম্যাচের পর কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, “আমাদের এমন শাস্তি দেওয়া হয়েছে, যেন ডোপিংয়ে ধরা পড়েছি” আর ম্যাচে কানাডার হয়ে প্রথম গোল করা জেসি ফ্লেমিং বলেন, “মনে হচ্ছে গোটা পৃথিবী এখন আমাদের প্রতিপক্ষ”
ছয় পয়েন্ট কেটে নেওয়ার খবর শুনে রাগে-ক্ষোভে দেয়ালে ঘুষি দিয়েছিলেন জাইলস। ফ্রান্সের বিপক্ষে জয়ের পর তিনি বলেন, “৭২ ঘণ্টা কিছুর ওপরই আমাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল না। আমরা এর (ড্রোনে গুপ্তচরবৃত্তি) অংশ ছিলাম না। কিন্তু এমন সাজা দেওয়া হয়েছে যেন ডোপিংয়ে ধরা পড়েছি। আমরা কিছুই করিনি। যে জিনিসটার ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, সেটা নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে করতে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি”
নিউজিল্যান্ডের অনুশীলনে ড্রোন চালিয়ে কানাডার ফুটবলাররা কোনো অনৈতিক সুবিধা নেয়নি বলে মনে করেন জাইলস। ড্রোন কান্ডের সাথে তাদের কোনো হাত নেই এমনটাই বলেছেন তিনি। সেই সাথে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এখানে (অলিম্পিক) ভাল করার জন্য সারাবছর তারা চেষ্টা করে গেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা কোনো সুবিধা নিইনি। আমরা মাঠে নেমেছি নিজেদের উজাড় করে খেলার জন্য। সারা বছর এ জন্যই কষ্ট করেছি। যে কারণে এমন অনিয়ন্ত্রিত কিছুর (পয়েন্ট কর্তন) জন্য প্রচণ্ড হতাশা আর রাগই হয়েছে শুধু”