গ্রানাদাকে ১-৪ গোলে হারিয়ে স্প্যানিশ লি লিগা চ্যাম্পিয়শিপ দৌঁড়ে টিকে রইলো রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের প্রতি হাফে দুটো করে গোল করে রিয়াল। প্রথমার্ধে মাদ্রিদকে লিড দেন মডরিচ, অতিরিক্ত সময়ে দ্বিতীয় গোল করেন রডরিগো। পরের হাফে দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করেন ওদরিওজোলা এবং বেনজেমা।
৩৬ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার টপে থাকা আতলেতিকোর সাথে চ্যাম্পিয়নশিপ রেসে টিক থাকতে রিয়াল মাদ্রিদকে জিততেই হতো। সেই লক্ষ্য পূরণে সাবলীল রিয়াল লিড পায় ১৭ মিনিটে। প্রথমবারের মতো রিয়ালের শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া তরুণ লেফটব্যাক গুতিয়েরেসের চিপ করা বল গ্রানাদা বক্সের বাঁপ্রান্তে পেয়ে যান লুকা মডরিচ। ডিফেন্ডার বলের ফ্লাইট মিস করায় বাড়তি সুবিধা পেয়ে একদমই ভুল করেননি ক্রোয়েশিয়ান মডরিচ।
রিয়ালের দ্বিতীয় গোলের একক কৃতিত্ব গোলস্কোরার রদরিগোর নিজেরই। ডান প্রান্ত থেকে অনেকটা দৌড়ে বক্সে ঢুঁকে গ্রানাদা ডিফেন্ডারকে ডজ করে কোনাকুনি নিচু শটে গোলকিপারকে ভড়কে দেন, বল জড়ায় দূরের পোস্টের জালে। দুই শূন্যে এগিয়ে বিরতিতে যায় জিনেদিন জিদানের মাদ্রিদ।
দ্বিতীয়ার্ধে মাচে ফেরে ওসাসুনা। অভিজ্ঞ হোর্গে মোলিনা গোল করে ব্যবধান করেন ১-২, ৭১ মিনিটে। এরপরই দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে রিয়াল। ডিবক্সের বাম দিক থেকে এডিন হ্যাজার্ডের পাসে পেনাল্টি স্পটের কাছাকাছি জায়গা থেকে আগুনে শটে ফার পোস্টের টপ কর্নারে গোল করেন ওদরিওজোলা, তার এক মিনিট পরেই রিয়ালে চতুর্থ গোল করেন করিম বেনজেমা। গোলবার ছেড়ে বেড় হয়ে আসা গ্রানাদা গোলরক্ষকের ভুলে গোলবারের প্রায় ৪০ গজ দূরে বল পেয়ে যান বেনজেমা, ততক্ষণে গোলবারও ফাঁকা কারণ গোলকিপার রুই সিলভাই যে বেনজেমাকে ব্লক করার চেষ্টা করছিলেন!! কোন রকম ভুল করেননি জিদানের বিশ্বস্ত ফ্রেঞ্চম্যান, ওই ৪০ গজ দূর থেকেই বল জালে পাঠান।
৩৬ ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগা টেবিলে দ্বিতীয় রিয়াল। দুই পয়েন্ট এগিয়ে থাকা আতলেকিতোর শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ টেবিলের ১১তম ওসাসুনা এব১ ১৮তম ভায়াদোলিদ। আতলেতিকোর তুলনায় রিয়ালের শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ বেশ কঠিন। অ্যাওয়ে ম্যাচে নবম স্থানে থাকা আথলেতিক বিলবাওয়ের পর লিগের শেষ ম্যাচে, ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ টেবিলের সপ্তম ভিয়ারিয়াল।