আগামী মৌসুম থেকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের সংখ্যা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। সেই লক্ষ্যে ৬টি নতুন শহরের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটি। জানা গেছে, আইপিএলে বিভিন্ন অঞ্চলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলসমূহের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে এবং ভারতের ভিন্ন ভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষের মাঝে আইপিএলের জনপ্রিয়তার প্রসার ঘটাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পূর্বাঞ্চল হতে গুয়াহাটি, রাঁচি ও কটক, পশ্চিমাঞ্চল হতে আহমেদাবাদ, মধ্যাঞ্চল হতে লক্ষ্মৌ ও উত্তরাঞ্চল হতে ধর্মশালা- এই ছয়টি শহর থেকেই নিলামের মাধ্যমে চুড়ান্ত হবে আইপিএলের নতুন দুটি দল, এমনটাই জানিয়েছে বিসিসিআই। নতুন দুটি দলের জন্য টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিও ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে।
নিলাম অনুষ্ঠিত হবে অক্টোবরে। নিলামে নতুন দলসমূহের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ২০০০ কোটি ভারতীয় রুপি। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, আহমেদাবাদ, গুয়াহাটি ও লক্ষ্মৌ- এই তিনটি শহর থেকেই নতুন দুটি টিম হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতের ক্রীড়া-বাণিজ্যের বিশাল বাজারটির সিংহভাগই দখল হয়ে আছে হিন্দি ভাষাভাষী অঞ্চলসমূহ দ্বারা; বিশেষ করে ক্রিকেটের ক্ষেত্রে। ভারতীয় ক্রীড়া ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ-এর দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে স্টার স্পোর্টস চ্যানেল কর্তৃক আইপিএল সম্প্রচারের মোট ভিউয়ারশিপের ৬৫% ই ছিল হিন্দি ভাষাভাষী অঞ্চলসমূহ থেকে। চলমান ইংল্যান্ড-ভারত টেস্ট সিরিজের ৫০.৭% ভিউয়ারশিপ গেছে হিন্দি ভাষায় খেলা সম্প্রচারকারী স্পোর্টস চ্যানেল সনি টেন ৩ এর ঝুলিতে; তামিল ও তেলেগু ভাষায় এই সিরিজ সম্প্রচারকারী সনি টেন ৪ এর ভিউয়ারশিপ ছিল মাত্র ০.৪%।
আইপিএলে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ফ্র্যাঞ্চাইজির অংশগ্রহণ দক্ষিণাঞ্চল থেকে। চেন্নাই সুপার কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ- তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকায় দক্ষিণাঞ্চল থেকে কোন শহরকে বিবেচনায় নেয়া হয়নি। বিসিসিআইয়ের দৃষ্টি এখন উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে আইপিএলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করার দিকে।
বর্তমানে উত্তরাঞ্চল হতে দিল্লী ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংস, পূর্বাঞ্চল হতে কলকাতা নাইট রাইডার্স, মধ্যাঞ্চল হতে রাজস্থান রয়্যালস ও পশ্চিমাঞ্চল হতে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস আইপিএলে প্রতিনিধিত্ব করছে।