ভারতীয় ঘরোয়া ফুটবলে বাংলাদেশী ফুটবলাররা খেলেছেন বহুবার, মোনেম মুন্নাতো ছিলেন ইস্ট বেঙ্গল স্টার। মাঝে অনেকটা সময় পেরিয়েছে, ভারতীয় ফুটবল যেখানে এগিয়েছে কয়েক যোজন, বাংলাদেশের ফুটবলে সেখানে অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখার শঙ্কা। জামাল ভুঁইয়া, ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব কলকাতা মোহামেডানের হয়ে খেলা শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে দেয়া সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, ভারতে নিজের পারফর্মেন্সে সন্তুষ্ট তিনি।
জামাল ভুঁইয়া কলকাতা মোহামেডানে যোগ দেওয়ার আগে কাতারের বিপক্ষে ৫ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ, হারের চাপের সাথে কাতার-ভারত মিলিয়ে প্রায় মাসখানেক থাকতে হয়েছে কোয়ারেন্টিনে। অনুশীলনে হয়তো ঘাটতি ছিল, তবে সময়ের সাথে তা কাটিয়ে উঠেছেন। কলকাতা মোহামেডানের পারফর্ম্যান্সে নিজেকে ৭৫ দিতে চান জামাল ভুঁইয়া, ৮০ হলেও সমস্যা নেই।
‘নিজেকে ৭৫ নম্বর দেব। ৮০-ও দেওয়া যেতে পারে। প্রথম দিকে ভালো খেলতে পারিনি। এক মাস পর গিয়ে ফিটনেস ফিরে পাই। এরপর থেকে ভালো খেলতে শুরু করি। শেষ কয়েকটি ম্যাচে বেশি ভালো খেলেছি’
কলকাতা মোহামেডানের হয়ে শুরুতে মানিয়ে নিতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে জামাল ভুঁইয়ার। শুধু নিজের দিক থেকেই না বরং সতীর্থদের কাছ থেকেও ঠিকঠাক সমর্থন পেতেন না তিনি। পরবর্তীতে যদিও মিটেছে সেই সমস্যা। শুধু খেলেছেন তেমনটাও না, শেষ ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন জামাল ভুঁইয়া।
‘প্রথম ৫-৬টা ম্যাচে এমনটা হয়েছে। বাঙালি কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী বিষয়টি বুঝতে পারেন। তিনি খেলোয়াড়দের বলেন, ‘তোমরা কেন ওকে বল দাও না?’ এর পরে ঠিকমতো বল পেয়েছি। ধীরে ধীরে সব খেলোয়াড়ের সঙ্গে সম্পর্কটাও ভালো হয়ে যায়। আমাকে নিয়ে তাঁরাও খুব খুশি ছিল। শেষ ম্যাচে আমি অধিনায়কত্বও করেছি’