সপ্তাহ না ঘুরতেই ঘরের মাঠে আরেকবার হোঁচট খেলো বুন্দেসলিগার চ্যাম্পিয়নরা। অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় কয়েকদিন আগেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে বায়ার্ন মিউনিখ। এবার এফসি ইউনিয়ন বার্লিন বাভারিয়ানদেরকে তাদের মাঠেই রুখে দিয়েছে। ১-১ গোল ম্যাচ ড্র। আগের দেখাতেও অখ্যাত এই ক্লাবকে হারাতে পারেনি বায়ার্ন। একই ব্যবধানে ম্যাচ ড্র হয়েছিলো।
প্রথম সারির ৯ জন ফুটবলারকে মাঠে নামাতে পারেননি বায়ার্ন কোচ। লেভানডফস্কি ইনজুরিতে, ইনজুরি ছাড়াও বেশ কয়েকজন ফুটবলার অসুস্থ। ফলে খর্ব শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামে বায়ার্ন মিউনিখ।
প্রথমার্ধে ম্যাচ গোলশূণ্য ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে মরিয়া বায়ার্ন লিড নেয় ম্যাচের ৬৮ মিনিটে। থমাস মুলারের পাস থেকে তরুণ ফুটবলার জামাল মুসিয়ালা লিড এনে দেন।
জয়ের সুবাতাস পেতে থাকা বাভারিয়ানদের আনন্দে ভাগ বসায় এফসি বার্লিন। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার চার মিনিট আগে ম্যাচটাকে ড্র’য়ে নিয়ে যান মার্কোস ইনভার্সেন।
পয়েন্ট ভাগভাগি করে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষস্থানে বায়ার্ন মিউনিখ। পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকা লাইপজিগ আছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে।
এদিকে- নিশ্চিত ড্র’য়ের ম্যাচে জয়ের আনন্দ নিয়েছে লিভারপুল। ইনজুরি সময়ের গোলে অ্যাস্টন ভিলাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে অলরেডরা। প্রথম দেখায় এই অ্যাস্টন ভিলার কাছে ৭-২ গোলে হেরেছিলো লিভারপুল।
সেই জুজু এই ম্যাচেও ছিল। ওই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা ওয়াটকিংস অ্যানফিল্ডেও ত্রাস ছড়ান। তার গোলেই লিড নিয়ে বিরতিতে যায় অ্যাস্টন। ৪৩মিনিটে ওয়াটকিন্সের শটে খুব বেশি গতি ছিল না, বল হাত লাগালেও ঠেকাতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক।
বিরতি থেকে ফিরে মোহাম্মদ সালাহ লিভারপুলকে সমতায় ফেরান। ৫৭ মিনিটে দিয়াগো জোটার পাস থেকে রবার্টসন শট নেন, কিন্তু ঠেকিয়ে দেন অ্যাস্টন ভিলা গোলরক্ষক। অবশ্য ফিরতি হেডে জালে জড়ান সালাহ।
১-১ ব্যবধানেই ম্যাচ শেষ হতে পারতো। কিন্তু ইনজুরি টাইমে ব্যবধান গড়ে দেন আলেকজান্ডার আর্নল্ড। এই ডিফেন্ডারের গোলে পূর্ণ পয়েন্ট পায় লিভারপুল।
৩১ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে অ্যাস্টন ভিলা তালিকার দশ নাম্বারে