পিএসজি-লিলেঁর ম্যাচটা ছিল টপ টেবিল ক্ল্যাশ। ম্যাচ থেকে ১-০ গোলের জয় নিয়ে শীর্ষস্থান দখল করলো লিলেঁ। বুন্দেসলিগায় কষ্টার্জিত জয় নিয়ে ফিরেছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে আত্মঘাতী গোলে হেরেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
লিগ ওয়ানে পিএসজি-লিলেঁর পুরো ম্যাচে কার্ডের ছড়াছড়ি, ফেয়ার প্লে’র বদলে অগোছালো ভাবে বল কাড়াকাড়ি। পিএসজির ষোলো শটের মাত্র তিনটা লক্ষ্য বরাবর, যেখানে লিলেঁর নেওয়া মাত্র তিন শটের মধ্যে একটা শট পাস করেছে গোললাইন।
গোলের দেখা মিলেছে ১৯ মিনিটে, স্কোরার লিলেঁর কানাডিয়ান স্ট্রাইকার জোনাথন ডেভিড। বাকিটা সময় বল দখলে রেখেও আক্রমণ ভাগের ব্যর্থতায় হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মাওরিজিও পচেত্তিনোর দল।
ম্যাচের শেষ মিনিটে লিলেঁ ডিফেন্ডার তিয়াগো জালোকে মাঠের বাইরে ধাক্কা মেরে লাল কার্ড দেখেন নেইমার। ঘটনার উত্তাপ বেড়ে শুরু হয় হাতাহাতি, তিয়াগোকেও দেখানো হয় লাল কার্ড। শেষ ১৪ লিগ ম্যাচে তিন লাল কার্ড দেখলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার।
২০০৭ সালের পর টানা তিন হোম ম্যাচ হারলো পিএসজি। ৩১ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে তারা, সমান ম্যাচে লিলেঁর সংগ্রহ ৬৬।
বুন্দেসলিগায় লাইপজিগের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরেছে চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। লেওন গোরেতস্কার একমাত্র গোলে বায়ার্নের জয় নিশ্চিত হয়। দলের মূল তারকা রবার্ট লেভানডফস্কি ছিলেন অনুপস্থিত, তাঁর শূন্যতা পূরণ করেছে বাকিরা, তবে জয় এতো সহজে আসেনি।
রাইজিং স্টার লাইপজিগ ঘরের মাঠে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারে নি। উল্টো বায়ার্নের আক্রমণে দিশেহারা হয়েছে তারা বারবার। গোরেতস্কার গোলটা এসেছে ৩৮ মিনিটে, থমাস মুলারের পাসে।
২৭ ম্যাচে টেবিল টপার বায়ার্নের পয়েন্ট ৬৪। সমান ম্যাচ খেলেও সাত পয়েন্ট পিছিয়ে দুইয়ে লাইপজিগ।
লিগের অন্য ম্যাচে হোম গ্রাউন্ডে হেরেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে ২-০ গোলের হারে ইউরোপার দৌড়ে পিছিয়ে গেল ডর্টমুন্ড।
দশ মিনিটে বরুশিয়া ডিফেন্ডার নিকো শুলসের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট। ৪৩ মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান ম্যাট হামেলস। কিন্তু শেষ বাঁশি বাজার ছয় মিনিট আগে বরুশিয়ার জালে বল জড়িয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টের জয় নিশ্চিত করেন চলতি মৌসুমের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা আন্দ্রে সিলভা।
২৭ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে ফ্রাঙ্কফুর্ট। সমান ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ নিচে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।