মোহাম্মদ সালাহ, ফ্যাবিনিও ও সাদিও মানের গোলে লিডস ইউনাইটেডের ঘরের মাঠে তাদের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে লিভারপুল। এই ম্যাচে গোল করার মধ্য দিয়ে মোহাম্মদ সালাহ স্পর্শ করেছেন প্রিমিয়ার লিগে নিজের শততম গোল। তবে লিভারপুলের এই দুর্দান্ত জয়ের আনন্দটা অনেকাংশেই ফিকে করে দিয়েছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুলের মিডফিল্ডার হার্ভি ইলিয়টের ইনজুরিতে পড়ে স্ট্রেচারে শুয়ে মাঠ ছাড়ার ঘটনা।
লিডসের ঘরের মাঠ এলান্ড রোডে ১৯ মিনিটের মাথায়ই এগিয়ে যায় লিভারপুল। ডানপ্রান্ত দিয়ে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের পাসে নিখুঁত ফিনিশিং দেন মোহাম্মদ সালাহ; এই গোলটির মাধ্যমে ৩০তম ফুটবলার হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে গোলের শতক পূর্ণ করলেন সালাহ। সালাহর এই ১০০ গোল এসেছে মাত্র ১৬২ ম্যাচে; ম্যাচের হিসেবে যেটি প্রিমিয়ার লিগের ৫ম দ্রুততম।
গোল দিয়েই কর্নার ফ্ল্যাগের দিকে দৌড়ে যান সালাহ, গোলে সাহায্যকারী আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডকে আলিঙ্গন করেন, এরপর সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রকাশ করেন কৃতজ্ঞতা। শততম গোল হিসেবে বেশ সাদামাটা উদযাপন; তবে কি খেলোয়াড়ি কি ব্যক্তিজীবন, মোহাম্মদ সালাহ তো ‘সাদামাটা’র ই প্রতিচ্ছবি।
দ্বিতীয়ার্ধে ৪৯ মিনিটের মাথায় সালাহর নেয়া কর্নার থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ফ্যাবিনিও। ২-০ গোলের লিড নিয়ে যখন উড়ছিল লিভারপুল, ঠিক তখনই ঘটে এক অনাহুত অঘটন। ৫৮ মিনিটে লিডসের সেন্টারব্যাক প্যাসকাল স্ট্রাক পেছন থেকে কড়া স্লাইডিং ট্যাকল করে বসেন লিভারপুলের হার্ভি ইলিয়টকে। মাটিতে শুয়ে ব্যথায় কাৎরাতে থাকেন ইলিয়ট; স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় ১৮ বছর বয়সী মিডফিল্ডারকে। পরবর্তীতে জানা যায় গোড়ালির হাড় সরে গেছে ইলিয়টের; যা গুরুতর ইনজুরিই বটে। ফাউলের জন্য লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান স্ট্রক।
দশজনের দলে পরিণত হয়েও লিডস ঘরের মাঠে দেখিয়েছিল প্রতিরোধ, তবে অতিরিক্ত সময়ের ৯১ মিনিটে মার্সেলো বিয়েলসার দলের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন সাদিও মানে। লিভারপুলের এই ফরোয়ার্ড ম্যাচজুড়েই সহজ সব সুযোগ মিস করছিলেন, অবশেষে শেষ মুহুর্তে পেলেন মৌসুমে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা।
এই জয়ে ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে আছে লিভারপুল। ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের পরবর্তী ম্যাচ ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে এসি মিলানের বিপক্ষে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর।