তাঁকে বলা হয় ‘গেগেনপ্রেসিংয়ের’ জনক; ক্লপ, টুখেলদের গুরু। তাঁর অধীনে ইউনাইটেডের খেলার ধরণে পরিবর্তন আসবে আঁচ করাই যাচ্ছিলো, তবে এতো অল্পদিনেই যে নিজের ফুটবল দর্শনটা নিজের নতুন শিষ্যদের মাঝে এভাবে গেঁথে দিতে পারবেন রালফ রাংনিক, যা এভাবে প্রতিফলিত হবে প্রথম ম্যাচেই, এমনটা হয়তো অনেকেই আশা করেনি।
ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফ্রেডের দূরপাল্লার শটে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ১-০ গোলে হারানোর মাধ্যমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে শুরু হলো ‘রালফ রাংনিক’ যুগ। স্কোরলাইন ব্যাখ্যা হয়তো করবে না নতুন গুরুর দীক্ষা মেনে গতি, হাই প্রেসিং ও আক্রমণ- এই তিনের সমন্বয়ে কতোটা নান্দনিক ফুটবলের প্রদর্শনী দেখিয়েছে রেড ডেভিলরা।
একটা পরিসংখ্যান দিয়ে হয়তো বোঝানো সহজ হবে। ক্রিস্টাল প্যালেসের অর্ধে মোট ১২বার বলের দখল জিতেছে ইউনাইটেড। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের রিটায়ারমেন্টের পর গত ১২ বছরে যা সর্বোচ্চ!
প্রথমার্ধে ৬৬% ও দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫% বলের দখল রাখে ইউনাইটেড। প্যালেসের রক্ষণভাগে মোট ১৬টি শট নেয়, অবশ্য লক্ষ্যে শট ছিলো মাত্র তিনটি। তবে মানসিকতার বদলটা চোখে পড়েছে। খেলোয়াড়রাও গায়ে গতরে খাটছিলেন আগের চেয়ে বেশি হারে। একাদশে নিয়মিত অ্যারন ওয়ান-বিসাকাকে বেঞ্চ করে ডিওগো ডালোকে খেলান রাংনিক। অপরপাশে অ্যালেক্স টেলেসের সাথে জুটি বেঁধে আগুন ঝড়ান দুই উইংব্যাক।
৭৭ মিনিটে মেসন গ্রিনউডের পাস থেকে ডি বক্সের প্রায় বাইরে থেকে আচমকা শটে গোল করেন ফ্রেড। যিনি ছিলেন ম্যাচের উজ্জ্বলতম তারকাদের একজন।
১৫ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৬ষ্ঠ স্থানে উঠেছে ইউনাইটেড।