চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে জিততে হলে করতে হবে ৫১১ রান। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়েই জিততে হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। অসম্ভবকে ‘সম্ভব’ করার লক্ষ্য নিয়েই নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। নয় ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে রান করলেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। চতুর্থদিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ২৬৮ রান।
রান তাড়ায় শুরুটা ভাল করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। লাঞ্চের আগে পর্যন্ত বেশ সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন তারা। তবে এরপরই ঘটে ছন্দপতন, প্রবাত জয়াসুরিয়ার বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জয়। তার আগে ৩২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে করেছেন ২৪ রান।
বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জাকিরও। বিশ্ব ফার্নান্দোর অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। তার আগে টাইগার ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৯ বলে ১৯ রান।
এরপর শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। দুজনেই করছিলেন সাবলীল ব্যাটিং। লঙ্কানদের বিপক্ষে গত দিন ইনিংসে এক অঙ্কের ঘরে আউট হওয়া শান্ত এদিন বড় ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিলেও সমর্থকদের হতাশ করেছেন। লাহিরু কুমারার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫৫ বলে ২ বাউন্ডারিতে করেছেন ২০ রান।
উইকেটে আসার পর থেকেই দারুণ ব্যাটিং করা মুমিনুল ৫৫ বলে পান ফিফটির দেখা। তবে এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। পরের বলেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি। লিটন কুমার দাশকে নিয়ে জুটি গড়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ৫৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩৬ রান করা সাকিবকে ফিরিয়ে ৬১ রানের জুটি ভাঙেন কামিন্দু মেন্ডিস। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট। এরপর দ্রুত ফিরেছেন লিটনও। তার আগে ৭২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে করেছেন ৩৮ রান।
শাহাদাত হোসেন দীপুও পারেননি তেমন কিছুই করতে। কামিন্দু মেন্ডিসের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরার আগে ৩৪ বলে করতে পেরেছেন ১৫ রান। তাইজুল ইসলামকে সাথে নিয়ে দিনের বাকিটা সময় কাটিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ডানহাতি এ ব্যাটার অপরাজিত আছেন ৪৪ রানে, তাইজুলের সংগ্রহ অপরাজিত ১০ রান।
শ্রীলঙ্কার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন লাহিরু কুমারা, প্রবাত জয়াসুরিয়া ও কামিন্দু মেন্ডিস। একটি উইকেট শিকার করেছেন বিশ্ব ফার্নান্দো।