বিপিএলের সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চারবার ফাইনাল খেলে প্রতিবারই শেষ হাসি হেসেছে দলটি। অন্যদিকে তিনবার ফাইনালে খেলেও শিরোপা ছুয়ে দেখা হয়নি বরিশালের। যদিও ফ্র্যাঞ্জাইজিটির নামে বদল এসেছে বেশ কয়েকবার, তবে বরিশাল নামে এর আগে তিনবার ফাইনাল খেলেছে তারা। কুমিল্লা নামবে তাদের পঞ্চম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে আর বরিশাল প্রথম।
বিপিএলের প্রথম আসরে ফাইনালে উঠেছিল বরিশাল বুলস। সেবার ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের কাছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছিল তারা। ২০১৫ সালে বরিশাল বুলস ফাইনালে কুমিল্লার কাছে হারে শেষ বলের রোমাঞ্চে। এরপর ২০২২ সালের ফাইনালেও একই দলের কাছে হারে বরিশাল।
অন্যদিকে ২০১৫ সালের পর আরও তিনবার বিপিএলের শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলেছে কুমিল্লা। দলটি টুর্নামেন্টে যে কয়বার ফাইনাল খেলেছে প্রতিবারই শিরোপা জিতেছে।
চলমান বিপিএলেও দারুণ ফর্মে আছে লিটন কুমার দাশের দল। প্রথম পর্বে সেরা দুইয়ে থেকে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করার পর রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে নিশ্চিত করেছে ফাইনাল। মেগা ফাইনালের আগে মুস্তাফিজুর রহমানের সুস্থ হওয়া দলটির জন্য স্বস্তির।
এছাড়াও কুমিল্লার বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে যেকেউ একাই ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য রাখে, সাথে দেশি জাকের আলী অনিক-তাওহীদ হৃদয়রা তো আছেনই।
টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে একটু নড়বড়ে থাকলেও সময় যত গড়িয়েছে ততই নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে বরিশাল। এলিমিনেটরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারানোর পর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুরকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা। কাইল মেয়ার্স-ডেভিড মিলাররা যেমন বরিশালকে জেতাতে সাহায্য করছে ঠিক তেমনি মুশফিকুর রহিম-মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরাও দলকে জেতাতে রাখছেন অবদান।
সব মিলিয়ে শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে জমজমাট এক ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় সমর্থকরা। দেখা যাক, বরিশাল তাদের প্রথম শিরোপা জিততে পারে কিনা, নাকি পঞ্চম শিরোপ ঘরে তুলবে ভিক্টোরিয়ান্স।