৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার

‘বারবার ফাঁকি দিয়ে পালানো’ ট্রফিটি এবার ধরতে চান ফিঞ্চ

- Advertisement -

অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে পৌঁছানো নাকি একেবারেই আশ্চর্যের বিষয় না, সংবাদ সম্মেলনে বললেন অ্যারন ফিঞ্চ।

বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে এটা বলা হলে অনেকেই একমত হতেন না নিঃসন্দেহে। ঐতিহ্যগতভাবেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটাকে অস্ট্রেলিয়া কখনোই খুব গুরুত্বের সাথে নেয়না, তার ওপর বিশ্বকাপের ঠিক আগে আগে টানা তিন সিরিজ হেরেছে তারা নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের সাথে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ছাড়া মূল ব্যাটসম্যানদের বেশিরভাগই ঘুরপাক খাচ্ছিলেন অফফর্মের বৃত্তে।

সেখান থেকে আজ অস্ট্রেলিয়া দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বকাপের ফাইনালের মঞ্চে; শিরোপা ছোঁয়ার থেকে মাত্র এক ম্যাচ দূরে। প্রতিপক্ষ তাসমান পাড়ের প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ড। এবং যেভাবে ফাইনালে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া, ঐ তিন সিরিজের কথা ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য এই একটি মাসই তো যথেষ্ট, কাজেই এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে ফিঞ্চ দম্ভের সাথে এমন কথা তো বলতেই পারেন।

“আমরা যখন এলাম, অনেক মানুষ আমাদের গোণায়ই ধরেনি তবে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। এবং এরপর যেভাবে আমরা নিজেদের পথে এগিয়েছি তা খুবই অসাধারণ। দলের সবাই খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে; খুব ভালোমত পরিকল্পনা করেছি দলের সবাইই কোন না কোন ম্যাচে ম্যাচজয়ী বা ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া পারফরম্যান্স করেছে। কালকের জন্যও আমরা মুখিয়ে আছি।”  

“এবং আমার মনে হয়না আমাদের ফাইনালে ওঠা প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো কোন বিষয়। আমাদের পরিষ্কার পরিকল্পনা ছিল এবং আমরা সে অনুযায়ী পারফর্ম করেছি।”

২০১০ বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হার, এরপরের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সেমিতে হার… সারা দুনিয়ার তাবৎ ট্রফি যাদের করায়ত্তে, সেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি যেন এক ধাঁধার নাম। তবে এবার সেই ধাঁধার সমাধান করেই ছাড়বে ‘মাইটি অজি’রা। জানালেন ফিঞ্চ।

“অতীতে এই ট্রফিটি আমাদের বারবার ফাঁকি দিয়েছে, এবং এই ফাইনালে আমাদের অতীতের সব ইতিহাস শোধরানোর সুযোগ এসেছে।” 

 

Image
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ছবি তুলেছেন দুই অধিনায়ক

তাসমান সাগরপাড়ের প্রতিবেশীদের সাথে শতবছরের পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার ‘সম্পর্ক’ অস্ট্রেলিয়ার। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্রিকেট ছাপিয়ে অন্যান্য খেলায় এমনকি খেলা ছাপিয়ে অন্যান্য বিষয়েও সঞ্চারিত হয় অহরহ। কাজেই এই ফাইনাল নিছক একটি ফাইনাল নয় বরং দুই দলের জন্য একটি মর্যাদার লড়াইও বটে।

“আমাদের দুই দলের ক্রিকেট ঐতিহ্য অনেক পুরোনো- আসলে শুধু ক্রিকেটে নয়, প্রতিবেশী হিসেবেই আমাদের সম্পর্ক দারুণ। আমরা নিউজিল্যান্ডের সাথে অনেক ম্যাচ খেলি এবং প্রতিবারই দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। কাজেই ওদের সাথে খেলা সবসময়ই দারুণ। উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে তারা আরো ভালো করছে।”

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে এপর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া। ৯টি জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, ৫টি নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপে একবারের দেখায় অবশ্য জিতেছে নিউজিল্যান্ড, ২০১৬ তে হিমাচল প্রদেশে।

 

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img