ইনজুরি থেকে ফিরে ১৮ মাস পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন, বিপিএলে দারুণ খেলার পর নির্বাচকরাও প্রত্যাশিতভাবেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে সুযোগ করেও দিয়েছিলেন। তবে সুযোগ পেয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি সাইফউদ্দিন। ফলে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদও পড়েছেন।
“আমরা আস্থার জায়গা থেকে সাইফউদ্দিনকে জিম্বাবুয়ে সিরিজে রেখেছিলাম। তবে তাকে পর্যবেক্ষণ করে মনে হয়েছে দলের আস্থা, প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষার জায়গা থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল তানজিম সাকিব। সে কারণেই সাইফউদ্দিন বাদ পড়েছে”-জানিয়েছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু
সাইফউদ্দিন জিম্বাবিয়ানদের বিপক্ষে খেলেছেন চার ম্যাচ। প্রথম ম্যাচটা দারুণ করলেও পরে সেই ধারাবাহিকতা আর ধরে রাখতে পারেননি। চার ম্যাচে ৯.৩১ ইকোনমিতে ৮ উইকেট পেলেও দেদারসে রান বিলিয়ে আসা, ডেথ ওভারে হতাশ করা, ইয়োর্কার কম দেয়া, সব মিলিয়ে তাকে বিশ্বকাপ দলে রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। অপরদিকে ২ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ৮.৫০ ইকোনমিতে মাত্র এক উইকেট পেলেও দলের জন্য তানজিম হাসান সাকিবের ডেডিকেশনই বেশি চোখে পড়েছে নির্বাচকদের।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষ হওয়ার পর থেকেই গণমাধ্যমে সাইফউদ্দিনের বাদ পড়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। শেষমেশ হলোও তাই। পরপর দুই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনেকটা নিজের দোষেই বাদ শেষ মুহুর্তে বাদ পড়লেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ফলে কপাল খুলেছে তানজিম হাসান সাকিবের।