বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্বের প্রথমদিন দুই ম্যাচেই হয়েছিল দুইশোর উপরে রান। বুধবার আগে ব্যাট করে ১৮৬ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। গতদিনের মতো এদিনও রানতাড়া করতে নামা দল মাঠ ছেড়েছে হারের হতাশা নিয়ে। এদিন বরিশালের কাছে দুর্দান্ত ঢাকার হারের ব্যবধান ২৭ রান।
টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন তামিম ইকবাল। বরিশালের অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না তা প্রমাণ হয়েছে পাওয়ারপ্লে শেষেই। বিনা উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৫৪ রান যোগ করেছে তামিম-শেহজাদ জুটি। শুরু থেকেই ঢাকার বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলেছেন বরিশাল অধিনায়ক।
২২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৪ রান করা শেহজাদকে ফিরিয়ে ঢাকাকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন আলাউদ্দিন বাবু। ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন তামিম। এরপর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন তিনি। আলাউদ্দিনের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৪৫ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় করেছেন ৭১ রান।
তিনে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছেন সৌম্য সরকার। তবে শরীফুল ইসলামের উপড় চড়াও হতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। তার আগে ২৩ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় করেছেন ২৮ রান।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কার মারে ইনিংসের শুরুটা দারুণ করেছিলেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। আলাউদ্দিনের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরার আগে ১০ বলে করেছেন ১৩ রান।
মুশফিকুর রহিম-মেহেদি হাসান মিরাজ ফিরেছেন দ্রুত। শেষের দিকে ঝড় তুলতে পারেননি শোয়েব মালিক। তবে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন খেলেছেন ৬ বলে দুই বাউন্ডারি ও সমান ছক্কায় ২৩ রানের অপরাজিত ক্যামিও।
ঢাকার হয়ে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন আলাউদ্দিন বাবু। দুটি উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলামের শিকার ১ উইকেট।
বড় রান তাড়ায় শুরুটা যেমন করা প্রয়োজন ছিল তেমন করতে পারেনি ঢাকা। যদিও কেশব মহারাজকে এক বাউন্ডারি ও ছক্কা মেরে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তবে সাউথ আফ্রিকান স্পিনারের প্রথম ওভারের মোহাম্মদ শেহজাদের দারুণ ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি।
অ্যাডাম রসিংটন ও সাইফ হাসানরা পারেননি তেমন কিছুই করতে। তবে বরাবরের মতো এদিনও ঢাকাকে সম্মানজনক রান এনে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার অ্যালেক্স রস। মূলত অজি এ ব্যাটারের ৪৯ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কায় অপরাজিত ৮৯ রানের কল্যাণে হারের ব্যবধান কমিয়েছে ঢাকা।
ব্যাটিংয়ে ৬ বলে ২৩ রানের ক্যামিও খেলা সাইফউদ্দিন বল হাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। নিজের করা প্রথম ওভারেই মাত্র ৭ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। পরে নিয়েছেন আরও একটি উইকেট। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ।