ঘটনাটা চলমান কোপা আমেরিকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে, কলম্বিয়ার কাছে ১-০ গোলে হারার পর কলম্বিয়ার সমর্থকদের সাথে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দারউইন নুনিয়েজ-রোনাল্ড আরাউহোরা। যেটি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা, ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও সেটি থামার অন্ত নেই। আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার মধ্যকার ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনেও এলো সেই মারামারির প্রসঙ্গ। অবশ্য এমন সময়ে আর্জেন্টিনার কোচ ও গোলকিপারের সমর্থনই পেলেন উরুগুয়ের ফুটবলাররা।
লিওনেল স্ক্যালোনি বলেন, “(উরুগুয়ে–কলম্বিয়া ম্যাচের) দৃশ্যগুলো খুব দুঃখজনক ছিল। আমার মনে হয়, (উরুগুয়ের খেলোয়াড়েরা যা করেছে) এ রকম মুহূর্তে যে কেউই একই কাজ করবে”
এর আগে ব্রাজিলে খেলতে গিয়ে উরুগুয়ের খেলোয়াড়দের মতো পরিস্থিতি পড়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা। সেই ঘটনাটিকে মনে করিয়ে দিয়ে স্ক্যালোনি বলেন, “আমাদের পরিবারের সদস্যদের যখন মারাকানার গ্যালারিতে এমনই পরিস্থিতিতে দেখেছিলাম, আমাদেরও একই ঘটনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। আমরা তাদের (স্বজনদের) ড্রেসিংরুমে নিয়ে যাই। খুব বাজে দৃশ্য ছিল সেগুলো। পরিবারের সদস্যদের এমন বিপর্যয়ের মধ্যে দেখার পর কাউকে দোষ দেব কি না, বুঝতে পারছি না। তবে এ ক্ষেত্রে যে কেউই মরিয়া হয়ে উঠবে”
মারামারির ঘটনায় তদন্তে নেমেছে লাতিন আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা (কনমেবল)। কয়েকদিন আগেই কোপা আমেরিকার আয়োজকদের রীতিমত ধুয়ে দিয়েছেন উরুগুয়ের কোচ মার্সেলো বিয়েলসা। কানাডার কোচও কোপা আমেরিকার আয়োজন নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
উরুগুয়ে-কলম্বিয়া ম্যাচের পর মারামারির বিষয়ে কথা বলেছেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজও। তিনি বলেন, “আমি মনে করি (স্ক্যালোনি) এর মধ্যেই সবকিছু খু্ব ভালোভাবে বলেছে। ব্রাজিলে আমাদের সঙ্গে এমনটা হয়েছে। ঘটনা যেখানে ঘটেছে, তার কাছাকাছি আমার পরিবারের এক সদস্য ছিল। সে দেখেছে ব্রাজিলের পুলিশ তরুণ আর মেয়েদের লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে। এটা দেখাটা কঠিন এক বিষয়। আপনি যদি মেয়েদের বা আপনার মা–বাবাকে মারতে দেখেন, তাহলে তো আমার মনে হয় দারউইন আর ওলিভেরা বা অন্যরা যা করেছে, সেটাই করবেন”
কোপা আমেরিকার ফাইনালে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ছয়টায় কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচে মারামারি কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটানোর জন্য সমর্থকদের অনুরোধ করেছেন স্ক্যালোনি।