ঈদের ছুটির পর শুরু হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ। সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি করেছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাইম ব্যাংক। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে আবাহনীকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখ। দুজনেই করেছেন দারুণ ব্যাটিং। হাসান মাহমুদ-শেখ মাহেদীদের খুব একটা পাত্তা দেননি তারা। মারার বল পেলেই বাউন্ডারি মেরেছেন আবাহনীর দুই ওপেনার।
তবে বিজয় নিজেকে দূর্ভাগা ভাবতেই পারেন। রান আউটের শিকার হয়ে ফিফটি মিস করেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৭৩ বলে দুটি করে চার ও ছক্কার মারে করেছেন ৪৫ রান। ভাঙে নাঈমের সাথে ১১০ রানের ওপেনিং জুটি।
বিজয় ফিরলেও দমে যাননি নাঈম। ৯৭ বলে চলমান ডিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এ ওপেনার। এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। রেজাউর রহমান রাজার বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তার আগে ১০৪ বলে ১০ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় করেছেন ১০৫ রান।
তিন নম্বরে উইকেটে আসার পর থেকেই দারুণ ব্যাটিং করেছেন শান্ত। শুরুতে সময় নিয়েছেন, প্রাইম ব্যাংকের বোলারদের দেখেশুনে খেলেছেন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে ততই স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করেছেন তিনি। ৭৭ বলে এবারের ডিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়ে যান শান্ত। এরপর আরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। হাসানের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৮৫ বলে ১২ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় করেছেন ইনিংস সেরা ১১৮ রান। শান্ত এদিন ব্যাটিং করেছেন ১৩৮.৮২ স্ট্রাইকরেটে।
নাঈম ও শান্তর সেঞ্চুরির দিনে ঝড়ো ফিফটি করেছেন তাওহীদ হৃদয়। ৩৫ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাতেই ৫০ ওভার শেষে ৩৪১ রান সংগ্রহ করেছে আবাহনী।