আলোকস্বল্পতা মিরপুরে, যেকোনো মুহুর্তেই আসতে পারে বৃষ্টি। সেইসাথে প্রথম এগার ওভারেই নেই তিন উইকেট। সবদিক থেকেই ব্যাকফুটে বাংলাদেশ, প্রয়োজন একটা জুটির। চা বিরতি থেকে ফিরে বল হাতে দুই স্পিনার, ব্যাটিংয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।
শেষ সেশনের দ্বিতীয় ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে পারতেন শান্ত, নোমান আলীর শেষ বলটা বাহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাটের কোণায় লেগে স্লিপ দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরের ওভারে সাজিদ খানের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে পারতেন মুশফিকও, কিন্তু আম্পায়ার্স কলের কারণে নষ্ট হয় পাকিস্তানের রিভিউ।
তাতে কি? সাজিদ ঠিকই দুই বল পর প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবলকে। আগের বলেই পেয়েছেন চার, পরের বলেই মিড উইকেট দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মুশফিক ক্যাচ দিয়েছেন ফাওয়াদ আলমের হাতে। ব্যাট হাতে আগের টেস্টে আলো ছড়ানো লিটন দাস, বাউন্ডারি দিয়েই খুলেছেন রানের খাতা।
পরের ওভারেই তিন বলে শান্তর দুই চার, বাউন্ডারি দিয়েই প্রতিরোধের চেষ্টা! কিন্তু, পরের বলেই প্যাভিলিয়নে যেতে পারতেন শান্তও, ভাগ্যিস নোমানের বলটা নো হয়েছিল! ভাগ্যিস রিভিউ নিয়েছিলেন শান্ত! কিন্তু, রক্ষা পাননি লিটন। সাজিদের পরের ওভারেই এগিয়ে এসে বোলারের সোজা সজোরে মারার চেষ্টা টাইগার উইকেটকিপারের, কিন্তু সাজিদ ক্যাচটা লুফে নিয়েছেন সাহসের সাথে। চার উইকেট সাজিদের।
সাকিব ব্যাটিংয়ে আসার পর সাত বলে এসেছে তিনটি বাউন্ডারি; দুইটি সাকিবের, একটি শান্তর! ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে আওয়াজ, ‘হোয়াটস গোয়িং অন?’ এবং পরের বলেই এলবিডব্লিউয়ের শিকার শান্ত। ক্যারিয়ারে সাজিদের প্রথম ৫ উইকেট! এরপর ব্যাট হাতে মেহেদি হাসান মিরাজ, সুইপ করে বাউন্ডারি তুলে নিতে গিয়ে বোল্ড মিরাজও; ৬ উইকেট সাজিদের। অথচ, এই ওভারের প্রথম বলেও ডাউন দ্য উইকেটে এসে বাউন্ডারি তুলে নিয়েছেন সাকিব। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে ডিফেন্স করতে দেখা যেন অমাবস্যার চাঁদ!