মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দরকার ১২ বলে ৩২ রান । ইনিংসের ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মিচেল স্টার্ক , প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান তারই স্বদেশী টিম ডেভিড , ঠিক সেসময়টাতে মনে হয়েছে মুম্বাইকে জিতিয়েই দিবেন। কারন এই আইপিএলে স্টার্কের খরুচে বোলিংয়ের কারনেই অনেক ম্যাচই হাতছাড়া হয়েছে কেকেআরের । কিন্ত না অজি এই পেসার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন , ম্যাচও জিতিয়েছেন । ঠিক পরের ফুলটসে বলে লং অফে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরান ডেভিডকে । ম্যাচে ফিরে নাইট রাইডার্স।
পরের বলে আউট পীযূষ চাওলা, দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ স্টার্কের সামনে। ওভারের চার নাম্বার ইনসুয়িং ইয়র্কার বলে ব্যাটার জসপ্রিত বুমরা নেন ১ রান । ঠিক পরের বলে কোয়েতজিকে বোল্ড করে, কলকাতার ২৪ রানের জয়। স্টার্কের কি উল্লাস! উইকেট পেয়ে এমন উচ্ছাস আর দেখা যায়নি এই আইপিএলে।
আইপিএলের ইতিহাসে সবচয়ে দামি এই ক্রিকেটার বলার মতো কোনো পারফরম্যান্স করতে পারছিলেন না । ১১ এর বেশি ওভার প্রতি রান খরচ করেছেন। কিন্তু দলের প্রত্যাশা এদিন ঠিকই পুরন করতে পেরেছেন বলেই এমন উদযাপন করেছেন। বাঁ-হাতি এই পেসার ম্যাচ শেষ করেছেন ৪ উইকেট পেয়ে ।
আরেকদিকে মুম্বাইয়ের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতে হার্দিক পান্ডিয়ার দলের বিপক্ষে কলকাতা যেন জিততেই ভুলেই গেছে। শুক্রবারের ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে ১২ বছর পর এই মাঠে জয়ের দেখা পেয়েছে শ্রেয়াস আইয়ারের দল ।
এর আগে টসে হেরে কলকাতা আগে ব্যাট করে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতেই ১৬৯ রানে অলআউট হয়। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে আসে কলকাতা আর মুম্বাইয়ের অবস্থান নয় নম্বরে।