২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড টেস্ট শেষে অ্যান্টিগার উইকেট নিয়ে উঠেছিল অভিযোগ। ইংলিশদের তৎকালীন হেড কোচ ট্রেভর বেলিসের কন্ঠে উইকেট নিয়ে ঝড়েছিল হতাশা। একই মাঠে ২০১৮ সালে ৪৩ রানে অল আউট হয়েছিল বাংলাদেশ দল। যদিও টাইগার উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান বলেছেন, খালি চোখে অতীতের চেয়ে অ্যান্টিগার বর্তমান উইকেট বাংলাদেশ দলের কাছে বেশ ভালোই মনে হয়েছে।
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে গড় ২৮৭, চতুর্থ ইনিংসে ১৭৬। বোঝাই যাচ্ছে সময়ের এগুনোর সাথে সাথেই কঠিন হতে থাকে অ্যান্টিগার উইকেট। তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের পর বাংলাদেশ দল বেশ কিছুদিন এই মাঠে অনুশীলের সুযোগ পেয়েছে। খানিক ধারণা জন্মেছে উইকেট নিয়েও।
শেষ যখন এখানে টেস্ট খেলেছিলেন আমাদের মনে হয়েছে সেই উইকেটের চেয়ে এখনকার উইকেট ভালো। তখন (২০১৮ সাল) একটু সফট উইকেট ছিল, এইবার মনে হচ্ছে উইকেটে একটু ঘাস আছে, আগের তুলনায় কিছুটা বেশী হার্ড – অলরাউন্ডারকে নুরুল হাসান সোহান
ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলা হয় ডিউক বলে, এই বলের সাথে বাংলাদেশ দলের অনেক ক্রিকেটারের পরিচয় এই প্রথমবার। অ্যান্টিগার মাঠের প্রায় পুরোটাই খোলা, পাশেই আবার সমুদ্র। এই মাঠে প্রায় সবসময়ই বাতাস থাকে, যা ম্যাচে বড় রকমের প্রভাব রাখতে পারে।
“আমরা এখানে ডিউক বলে খেলতে হবে। এই বলটার শাইন অনেক্ষণ পর্যন্ত থাকে। উইকেটে একটু বেশীক্ষণ স্থায়ী হতে পারলে ব্যাটারদের জন্য কাজটা সহজ হবে। তবে নতুন বলে কঠিন চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে। আমরা যখন নেটে ব্যাট করেছি, মনে হয়েছে বাতাসের কারণে বোলাররা একটু এক্সট্রা সুইং পাচ্ছে”
অ্যান্টিগায় এখন পর্যন্ত একটা টেস্টই খেলছে বাংলাদেশ দল। সেই টেস্টের দুই ইনিংসেই ক্যারিবিয়ানদের পেস আর বাউন্সের সামনে অসহায় ছিল টাইগাররা। একটাই ফিফটি, ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে নুরুল হাসান সোহান খেলেছিলেন ৬৪ রানের ইনিংস। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর মাত্র দশ বল পরে বাতিল করতে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড টেস্ট। সেটা অবশ্য উইকেট নয় বরং বাজে আউটফিল্ডের কারণে।