১৩ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার

যা আমার হাতে নেই, তা নিয়ে মাথা ঘামাই না: সোহান

- Advertisement -

উইকেটের পেছনে তার সরব উপস্থিতি, উদ্দীপ্ত শরীরী ভাষা, কিপিং গ্লাভস হাতে দক্ষতা, মিডল অর্ডারে কার্যকরী ব্যাটিং- সব মিলিয়ে খুব অল্পদিনেই জাতীয় দলে ও সমর্থকদের মনে একটি গুরুত্বপূর্ণ  জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। জাতীয় দলে এটি বলা যায় তাঁর দ্বিতীয় অধ্যায়। তবে এই অধ্যায়ে যেন নতুন করে নিজের জাত চেনাচ্ছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।

আজ (বুধবার) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন সোহান। কথোপকথনে উঠে এসেছে তাঁর বিশ্বকাপ ভাবনা, কিপিং-দর্শন, ব্যক্তিগত জীবনদর্শনসহ আরো নানান প্রসঙ্গ।

২০১৮ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর জাতীয় দল ও তাঁর মাঝে ছিল প্রায় সাড়ে তিন বছরের লম্বা দূরত্ব। দ্বিতীয় দফা দলে ফিরেই টানা তিন সিরিজ করেছেন কিপিং। মুশফিকুর রহিম টি-টোয়েন্টিতে কিপিং ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা করার মাধ্যমে এটিও প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে যে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও উইকেটের পেছনে সোহানই থাকছেন। এই লম্বা সময়ের নিশ্চয়তাটা কতটুকু উপভোগ করছেন সোহান? জবাবে বলেছেন, এসব নিয়ে নাকি মাথাই ঘামান না এই ২৭ বছর বয়সী।

 

“দুই তিন বছর যখন জাতীয় দলের বাইরে ছিলাম তখন নিজের মানসিকতা পরিবর্তন করেছি। এখন খুব বেশি কিছু নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। মনে হয়, যখনই দলের হয়ে খেলবো তখন দলের জয়ে ভূমিকা রাখার জন্য যে দায়িত্ব থাকে সেটা পালন করাই আমার প্রথম দায়িত্ব। বড় বিষয় হলো প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখা ও পরিশ্রম করা। এর বাইরে যেগুলো আমার আয়ত্বে নেই- সেগুলো নিয়ে খুব একটা ভাবিনা“- সোহান

উইকেটের পেছনে সাবলীল সোহান

টি-টোয়েন্টি সিরিজে কিপিং গ্লাভস নিয়ে একটা প্রতিদ্বন্দ্বীতার আভাস উঠেছিল অগ্রজ মুশফিকের সাথে। তবে মুশফিকের ঘোষণায় তার অবসান ঘটেছে। সিরিজ চলাকালীন মুশফিকের সাথে অনুশীলন করতেও  দেখা গিয়েছে সোহানকে। জানিয়েছেন, দলের বাইরে থাকাকালীনও নাকি চমৎকার সম্পর্ক ছিল তাঁর মুশফিকের সাথে।

“মুশফিক ভাই তো ১৬-১৭ বছর ধরে বাংলাদেশ দলে খেলছেন। শুধু বাংলাদেশ না বিশ্বের সেরা উইকেটরক্ষকদের একজন তিনি। আমি সবসময়ই চাই যে তার অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে। এমনকি যখন জাতীয় দলের বাইরে ছিলাম তখন ফিটনেস, ব্যাটিং ও উইকেটকিপিং নিয়ে সবসময় কথা হতো। সবসময়ই তার কাছ থেকে সমর্থন পাই আমি“- বলেছেন সোহান

মুশফিকের সাথে সবসময়ই ভালো সম্পর্ক সোহানের

ম্যাচের পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন উইকেটের পেছনে সাবলীল শরীরী ভাষা সোহানের। জানিয়েছেন, দলের জন্য নিজের শতভাগ দেওয়ার চিন্তা থেকেই এতো উদ্দীপ্ত থাকেন তিনি।

“আমার কাছে মনে হয়, দলের জন্য আমার জায়গা থেকে যে দায়িত্ব থাকবে- ব্যাটিং,কিপিং বা ফিল্ডিং, এমনকি যখন একাদশের বাইরে থাকি তখনও- সেটা শতভাগ পালন করতে পারছি কিনা সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচে ক্যাচ মিস হতে পারে, বাজে সময় আসতে পারে, যে কোন সময় আমি ব্যর্থ হতেই পারি, কিন্তু এটা নিয়ে যদি চিন্তা করি তো ভবিষ্যতে এমন হবে যে শতভাগ দিতে পারব না। আমি তাই ভবিষ্যত বা অতীত নিয়ে খুব চিন্তা করছি না, পরিশ্রম করে যেতে চাই”

ছবিঃ বিসিবি

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ভালো সম্ভাবনাও দেখেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
“শেষ তিনটা সিরিজ আমরা খুব ভাল খেলেছি এবং দলের সবার এই বিশ্বাস আছে যে, যেকোন বড় দলের বিপক্ষে আমরা জিততে পারি। এই আত্মবিশ্বাসটা আমাদের বিশ্বকাপে অনেক সাহায্য করবে।একেক জায়গার কন্ডিশন একেক রকম থাকবেই। তবে আমার মনে হয় বাংলাদেশের কন্ডিশন আর আরব আমিরাতের কন্ডিশন অনেকটাই একরকম। যেহেতু আমরা আগে যাচ্ছি, এটা অনেক সাহায্য করবে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে”

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img