ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরাতন দ্বৈরথগুলোর মধ্যে একটা অ্যাশেজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ডিসেম্বরের ৮ তারিখ থেকেই অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হওয়ার কথা অ্যাশেজ। কিন্তু, তার মাস দুয়েক আগেই শুরু হয়ে গেছে কথার লড়াই। হোবার্টের এসইএন রেডিওকে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্যাপ্টেন টিম পেইন সম্প্রতি বলেছেন “জো রুট খেলুক অথবা না খেলুক, ডিসেম্বরের আট তারিখ থেকে অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট মাঠে গড়াবে”
? The #Ashes are going ahead. The first Test is on December 8 – whether Joe is here or not ?
Australia captain Tim Paine says #AUSvENG ⚱️ IS ON even if some England players decide not to travel due to COVID-19 quarantine restrictions
— Sky Sports Cricket (@SkyCricket) October 1, 2021
মূলত ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট অস্ট্রেলিয়া সফর করবেন কি না তা নিয়ে সনেধে প্রকাশ করার পরই পেইন বলেছেন এমন কথা। কিছুদিন আগেই রুট বলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় তাদের কোয়ারেন্টিন নীতিমালা প্রকাশ না করা পর্যন্ত অ্যাশেজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।
করোনা মহামারী কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর ইংল্যান্ডে বায়োবাবল অনেকটাই সহজ করে ফেলা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়াতেও মাঠে দর্শক আসা শুরু করেছে। তবে, অস্ট্রেলিয়ায় ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে ভিন্ন ভিন্ন কোয়ারেন্টিন নীতিমালা রেখেছে রাজ্য সরকারগুলো। এতেই মূলত আপত্তি জানিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক। অ্যাশেজের পাঁচ টেস্টের প্রথম চার টেস্টে কোয়ারেন্টিন নিয়ম শিথীলই থাকবে। তবে, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড, সিডনি, মেলবোর্নের পর পঞ্চম টেস্ট খেলতে দুইদল যখন পার্থে যাবে তখনই বাধবে ঝামেলাটা।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সরকার জানিয়েছে অন্য রাজ্য থেকে আসা সবাইকে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় এসে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে। ফলে পার্থে টেস্ট খেলতে গেলে আগে দুইদলকে দুই সপ্তাহ রুমবন্দি থাকতে হবে। আর দির্ঘদিনের এই কোয়ারেন্টিন পালনেই শত আপত্তি জো রুটের। শুধু তাই নয়, এখনো পর্যন্ত এমনই শোনা যাচ্ছে যে, অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে যাওয়া ইংলিশ খেলোয়াড়দের সাথে তাদের পরিবারকেও যেতে দেওয়া হবেনা। তাতেও আপত্তি আছে ইংলিশ ক্রিকেটারদের। রুট এখনো সন্দিহান হলেও জস বাটলার সরাসরিই জানিয়েছেন পরিবারকে ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে যাবেননা তিনি।
তবে, এতে যেনো কিচ্ছু আসে যায়না অজি অধিনায়কের। তিনি বলেছেন, “ইংলিশ ক্রিকেটারদের কেউ খেলতে আসার জন্য জোর করছে না, তোমার মন চাইলে এসো মন না চাইলে এসোনা। এটাই তো এই পৃথিবীর সৌন্দর্য” এমতাবস্থায়, দুই দেশের সরকার এবং ক্রিকেট বোর্ড কি সিদ্ধান্ত নেয় এবং আদৌ সঠিক সময়ে অ্যাশেজ মাঠে গড়ায় কি না তা নিয়ে বড় একটা প্রশ্নবোধক চিহ্নই ঘুরছে বাতাসে।