রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ১৩২ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। তারপরও খুব একটা চিন্তা করছে না নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কারণ উইকেটে যে টিকে আছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাশের মতো ব্যাটার। উইকেটে আসার পর থেকেই পাকিস্তানি বোলারদের উপরে চড়াও হয়ে খেলেছেন এলকেডি। যার কারণে ম্যাচটা মোটামুটি বাংলাদেশের হাতে চলে এসেছে বলে মনে করছেন মুমিনুল হক।
পাকিস্তান দলে শাহিন শাহ আফ্রিদি, খুররম শেহজাদ, মোহাম্মদ আলী ও নাসিম শাহর মতো পেসাররা আছেন। তবে পাকিস্তানি পেসারদের কোনো পাত্তাই দেননি লিটন। একপ্রান্তে মুশফিক দায়িত্বশীল ব্যাটিং করলেও অন্যপ্রান্তে আক্রমণাত্মক ছিলেন এলকেডি। যার কারণে তৃতীয় দিন শেষে স্বস্তিতেই আছে বাংলাদেশ।
টাইগারদের হয়ে প্রেস কনফারেন্সে আসা মুমিনুল বলেন, “বিদেশের মাটিতে চারজন পেসার, চারজনই দারুণ, তাদের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছে সেটা অসাধারণ। জাকির বড় করতে পারেনি। কিন্তু যতক্ষণ ক্রিজে ছিল দলের জন্য খেলে গেছে। শেষের দিকে লিটন যেভাবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছে, খেলাটা মোটামুটি আমাদের হাতে চলে এসেছে। খুব ভালোভাবে ম্যাচের অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে।”
বাংলাদেশ মূলত ভীতটা পেয়েছে সাদমান ইসলাম ও মুমিনুলের ৯৪ রানের জুটির কল্যাণে। মুমিনুল ফিফটি করে ফিরলেও সাদমান ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকেই। তবে ৭ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরেছেন সাদমান। পাকিস্তানের পেসারদের বিপক্ষে এমন ব্যাটিং করায় বেশ বাহবা পাচ্ছেন তিনি।
সাদমানের বিষয়ে মুমিনুল বলেন, “খেলাটা গড়ে দিয়েছে আগেরদিনই। জাকির আর সাদমান ১২ ওভার খেলেছে, একটা উইকেটও পড়েনি। ওই সময় যেমন খেলা দরকার তেমনই খেলেছে। ওই সময়টা ছন্দটা ধরিয়ে দিয়েছে। সঙ্গে সাদমানের ৯৩ রানের ইনিংসটি আমার দেখা অন্যতম সেরা ইনিংস।”
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তৃতীয় দিন শেষে ১৩২ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ৫৫ রান করে অপরাজিত আছেন মুশফিক, লিটনের সংগ্রহ অপরাজিত ৫২ রান।