চলমান বিপিএলে টানা ৫ ম্যাচ ধরে অপরাজিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সোমবার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে রংপুর রাইডার্সের সাথে পয়েন্টের ব্যবধান সমান করার সুযোগ ছিল তাদের সামনে। তবে লিটন দাশের ৫৮ বলে ৮৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পরও মোহাম্মদ মিঠুনের দলকে হারাতে পারেনি কুমিল্লা। সিলেটের কাছে তাদের ১২ রানে হার।
১৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি কুমিল্লা। ওপেনিংয়ে নেমে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি ইমরুল কায়েস। তবে আরেক ওপেনার লিটন খেলেছেন দারুণ। শুরুতে উইকেটে সেট হতে সময় নিয়েছেন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক। ৩৬ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন এলকেডি। তবে শতক পাওয়া হয়নি তার।
তাওহীদ হৃদয় শুরুটা ভাল করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তেমন কিছুই করতে পারেননি জনসন চার্লস। ২১ বলে ১২ রান করে কুমিল্লার শুধু হতাশাই বাড়িয়েছেন। মঈন আলী ৫ বলে ০ রান করে আউট হয়ে দলের চাপ বাড়িয়েছেন। শেষ দুই ওভারে ৩৭ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি আন্দ্রে রাসেল ও লিটন।
সিলেটের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সামিট প্যাটেল ও শফিকুল ইসলাম। প্যাটেল ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট, শফিকুল ১ উইকেট নিতে খরচ করেছেন ১৮ রান। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তানজিম সাকিব।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ১৭৭ রান সংগ্রহ করে সিলেট। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেছেন বেনি হাওয়েল।
টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সিলেট অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। দলকে দারুণ শুরু এনে দেন জাকির হাসান ও নতুন রিক্রুট কেনার লুইস। ১৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৮ রান করা জাকিরকে ফিরিয়ে ৪০ রানের জুটি ভাঙেন সুনীল নারাইন। লুইস করেছেন ২৫ বলে ২ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৩৩ রান।
নাজমুল হোসেন শান্ত পারেননি তেমন কিছুই করতে। চলমান বিপিএলটা ভুলে যাওয়ার মতো কাটানো শান্ত ১৮ বরে করেছেন মাত্র ১২ রান।
সিলেট ১৭৭ রানের সংগ্রহ পায় মূলত মিঠুন ও হাওয়েলের কল্যাণে। তাদের জুটিতে ৪২ বলে ওঠে ৭৭ রান। ২০ বলে ২৮ রান করে ফিরেছেন মিঠুন। তবে চলমান বিপিএলে টানা দ্বিতীয় ফিফটি ঠিকই তুলে নিয়েছেন হাওয়েল। শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৬২ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও সুনীল নারাইন। একটি উইকেট নিয়েছেন মুশফিক হাসান।