শুক্রবার সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৬১ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সাথে সিরিজে তো বটেই, অজিদের বিপক্ষে সিরিজেও এর আগে ১৫০ পেরোয়নি কোনো দল। মিরপুরের এই পিচে ১৬১ যে পাহাড়সম রান, ২৭ রানে হেরে সেটাই যেন আরেকবার প্রমাণ করলেন টাইগাররা। হেরে সিরিজ শেষ করলেও ইতিবাচক বেশ কিছু দিক খুঁজে পেয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
“কোভিডের মধ্যে যে আমরা জিম্বাবুয়েতে খেলে এসেছি, ঘরের মাঠে দুটো সিরিজ খেলেছি এটা প্রস্তুতির জন্য দারুণ সুযোগ। টি-টোয়েন্টির জন্য যেই ধরণের দল হওয়া দরকার, আমাদের দলটা ঠিক সেই ধরণের দল নয়। সেজন্য আমরা বেশ কিছু এক্সপারিমেন্টও করেছি। তরুণদের খেলিয়েছি”- বলছিলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট
“আমরা যদি এই সিরিজগুলো না জিতে বিশ্বকাপে যেতাম, তাহলে হয়তো আরো খারাপ হতো। টানা তিনটি সিরিজ জিতেছি আমরা। যে কোনো ফরম্যাটেই অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো সিরিজে হারিয়েছি, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতেছি। আফিফ দুর্দান্ত খেলছে, রিয়াদ রানে ফিরেছে, নাসুম খুব ভালো বল করছে, সোহান দুর্দান্ত কিপিং করেছে। সাকিব-মুস্তাফিজের সাথে তো কারোর তুলনাই চলেনা। সবমিলে বেশকিছু ইতিবাচক দিক ছিল গত কয়েকটা সিরিজে”- ইতিবাচক দিক খুঁজেছেন পাপন
কিন্তু, টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের রান না পাওয়াটা যে বিসিবি সভাপতিকে বেশ ভাবাচ্ছে সেটা লুকোননি তিনি।
“নাইম দারুণ ব্যাটসম্যান, লিটন কিন্তু রান করতে পারে সেটা ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছে, সাকিব একা হাতে যে কোনো দলকে হারিয়ে দিতে পারে। মুশফিক এখন হয়তো রানে নেই, কিন্তু ও আমাদের দেশের সেরা ব্যাটসম্যান। টপঅর্ডারে এরা যখন রান পাবে, আমার মনে হয় আমাদের খেলাটাও তখন আরো ভালো হবে”- বলছিলেন বিসিবি সভাপতি
ভবিষ্যতে আরো একটা স্কোয়াড তৈরী করতে চান পাপন। অন্তত একটা বছর সময় পেলে টি-টোয়েন্টিতেও দারুণ একটা দল তৈরী করা সম্ভব বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি।
“আমরা ওডিআইতে মোটামোটি একটা অবস্থানে এসেছি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি এবং টেস্টে কিন্তু আমরা অনেক পেছনে। টি-টোয়েন্টিতে আমরা উন্নতির চেষ্টা করছি এবং প্রায় ৬-৭ জন নতুন ছেলেকে দলে নেয়া হয়েছে; ভবিষ্যতে সংখ্যাটা আরো বাড়বে। তাই, আমরা আলাদা একটা স্কোয়াড তৈরী করতে চাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, একটা বছর সময় পেলে টি-টোয়েন্টিতেও একটা স্ট্রং টিম হওয়া সম্ভব”- নতুন দল নিয়ে বলছিলেন নাজমুল হাসান পাপন
৪ অক্টোবর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে ওমানে যাওয়ার কথা টাইগারদের; ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অন্য দুই প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি এবং স্বাগতিক ওমান। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল যদি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে সুপার-১২ তে টাইগারদের প্রতিপক্ষ হবে ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তানের মতো দলগুলো। কঠিন এক লড়াইকে সামনে রেখে তাই গত সিরিজগুলোতে বড় দলগুলোর সাথে জয়ের আত্মবিশ্বাসটাকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ।