দ্বিতীয় দিনের দুই নম্বর সেশনেই বিদেশের মাটিতে একনম্বর শতক তুলে নিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। আট বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে আগের দশটা হান্ড্রেডই ছিলো ঘরের মাঠে। অপেক্ষার অবসান হলো পাল্লেকেলে’তে। নয়টা চারে ২২৪ বলে তিন অংকের ম্যাজিকাল ফিগারে ছোট্ট মুমিনুল।
সুযোগ ছিলো ইনিংসটা টেনে নেয়ার তবে ১২৭ করে ধনঞ্জয়ার অফ স্পিনে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটল ডায়নামো। মুমিনুল ফিরলেও ক্রিজে সেট হয়েছেন অভিজ্ঞ মুশফিক। দ্বিতীয় সেশন শেষে ৪ উইকেটে ৪৪০ রান বাংলাদেশের। এই সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে ৬২ রান তুলেছে টাইগাররা। ২২ রানে আনবিটেন মুশি, বড় ভাইয়ের চেয়ে দশ রান কম করে চা বিরতিতে গেছেন লিটন।
শুধু মুমিনুল নয়, এই সেশনে শান্ত’রও আছে মাইলস্টোন। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটাকে দেড়শোতে রূপ দিয়েছেন। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ডাবল সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন। বিদেশের মাটিতে ওয়ানডাউনে আশরাফুলের ১৯০ রানের ইনিংস টপকানোর সুযোগটা লুফে নিতে পারলেন না শান্ত। ৩৭৮ বলে ১৬৩ রান করে কুমারার পেসে কট এন্ড বোল্ড হন আলোচিত বাহাতি।
ক্যান্ডিতে সফররতদের ব্যাটিং শৈলীতে যেনো স্বাগতিকদের কোনো পরিকল্পনাই কাজে দিচ্ছেনা। মুমিনুল-শান্ত’র পার্টনারশিপে রেকর্ডও হয়েছে বেশ কটা। টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে যেকোনো জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বল খেলার কৃতিত্ব গড়লেন তারা (৫১৪ বল)। ৫১৮ বল ফেস করে শীর্ষে মুশফিক-আশরাফুল জুটি। এছাড়া শান্ত-মুমিনুলের ২৪২ রান তৃতীয় উইকেটে নতুন রেকর্ড।