নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ, খুব বাজেভাবে হেরে। সবশেষ, ৩ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে। খেলায় হারে “লজ্জা” শব্দটা ব্যবহারে অনেকেরই অপত্তি আছে, সেটা অনেক ক্ষেত্রেই যৌক্তিকও বটে!! কিন্তু বাংলাদেশ যে কায়দায় হেরেছে, সেটাকে লজ্জাজনক হার বলা ঠিক হবে কিনা, সেটা ঠিক করবেন পাঠক। টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশের সাথে সাথে, এমন কিছু রেকর্ডে বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে গেছে, যা নি:সন্দেহে দর্শক-ভক্তদের আহত করবে। মনে খারাপের কারণ হবে।
বলের হিসেবে বিশ ওভারের ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বলে অলআউটের লিস্টে বাংলাদেশ এখন চতুর্থ। ব্ল্যাক ক্যাপদের সাথে সবশেষ ম্যাচে ৫৭ বলে অলআউট হয়েছে লিটন দাশের দল। টাইগারদের ওপরে, সবচেয়ে কম বলে অলআউট হওয়ার লিস্টে তৃতীয় তুরষ্ক। যে দলটা ক্রিকেট খেলে, এটাই হয়তো আপনি জানতেনই না!! সে যাই হোক, ২০১৯ সালে অস্ট্রিয়ার সাথে ৫৩ বলে অলআউট হয়েছিলো তার্কিশরা। দুইয়ে আবারও বাংলাদেশ, তবে ঘরোয়া ক্রিকেট। সিলেটে ২০১৩ সালে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ৫২ বলে অলআউট হয়েছিলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। টপ অব দ্য লিস্ট, আবারো তুরষ্ক!! দুই বছর আগে চেক রিপাবলিকের সাথে ৫১ বলে দশ উইকেট হারিয়েছিলো তার্কিশরা।
তথ্যগুলো যেমন তেমন, সবচেয়ে কম বলে অলআউট হওয়ার লিস্টে তুরষ্ক, চেক রিপাবলিক কিংবা অস্ট্রিয়া ক্রিকেট দলের সাথে যেখানে বাংলাদেশের নাম, সেখানে কি “লজ্জা” শব্দটা ব্যবহার করা খুব অনপুযুক্ত?? আবার, যদি ফুটবলে ওই দলগুলোর সাথে বাংলাদেশের নাম আসতো, তাহলে খুশিতে দম আটকানোর মতো অবস্থাও হতে পারতো, আফসোস; রিয়াদ-মুশফিক-লিটন-সৌম্যরা ফুটবলের বদলে জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়!!
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কমপক্ষে ১০ ওভারের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান রেটে যে দলগুলোর বিপক্ষে রান তোলা হয়েছে, সেখানেও বাংলাদেশের নাম। টাইগাররা দুইয়ে, অবশ্যই কিউইদের সাথে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি এই রেকর্ডে বাংলাদেশকে টেনে এনেছে। রান রেট ১৪.১। এক নম্বরে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এটা ভেবে হয়তো একটু পিটপিট করে তাকাতে পারে। লঙ্কান বোলারদের বেমক্কা পিটিয়ে ১৪.৭ রান রেটে যারা রান তুলেছিলো, সেই দলটাও নিউজিল্যান্ড, ২০১৬ সালে। লিস্টের তিনেও বাংলাদেশ, ভেন্যু হিসেবে। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে, ১৩.৯৫ রান রেটে রান তুলে ম্যাচ জিতেছিলো নেদারল্যান্ডস।
আর বেশি তথ্য কি জানার দরকার আছে?
জানার কোন শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই। হীরক রাজার দেশে সিনেমার “হীরক রাজের” এই কথা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য একটু আলাদা করে লেখাই যায়, “শেখার কোনো শেষ নাই, আমরা কেবল শিখতে যাই”