কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে অবশেষে দেখা গেল অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। টুর্নামেন্টে আগের কয়েকটি ম্যাচে বল হাতে দুর্দান্ত থাকলেও ব্যাটিংয়ে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি টাইগার অলরাউন্ডার। অবশেষে রানের দেখা পেয়েছেন তিনি। সেইসাথে তার দল বাংলা টাইগার্স মিসিসাগাও পেয়েছে দ্বিতীয় জয়। টরেন্টো ন্যাশনালকে ২ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।
টস জিতে বাংলা টাইগার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় টরেন্টো। ওপেনিংয়ে নেমে দলকে ভাল শুরু এনে দেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম। দুজনের প্রথম উইকেট জুটিতে ৫.৪ ওভারে ওঠে ৪৭ রান। ওয়াসিমকে বোল্ড করে টরেন্টোকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন রোমারিও শেফার্ড। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১৮ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ২৭ রানের ইনিংস খেলেছেন ওয়াসিম।
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি গুরবাজ। সাদ বিন জাফরের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তার আগে ২৬ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন আফগান এ ওপেনার।
৫ নম্বরে উইকেটে আসেন সাকিব। বাংলা টাইগার্স অধিনায়ক উইকেটে এসেই টরেন্টোর বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলেছেন। ১৫ বলে ২৪ রানের ইনিংসটিতে মেরেছেন ৩টি ছক্কা, ছিল না কোনো বাউন্ডারি। মোহাম্মদ রোহিদের বলে রোস্টন চেজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
বাংলা টাইগার্স মূলত ১৬৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছে ডেভিড ভিসার কল্যাণে। শেষের দিকে টরেন্টোর বোলারদের উপর তান্ডব চালিয়েছেন তিনি। ১৭ বলে ৩টি করে বাউন্ডারি ও ছক্কায় ৩৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন ভিসা।
১৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভাল করতে পারেনি টরেন্টো। ২৫ রানের মধ্যেই ওপেনার আন্দ্রিয়াস গুস ও তিনে নামা রাসি ভ্যান ডার ডুসেনকে হারায় তারা। কলিন মুনরোও পারেননি ইনিংস বড় করতে। ১২ বলে ১৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
টরেন্টোকে ম্যাচে রেখেছিলেন নিকোলাস কিরটন। দলের বাকি ব্যাটারা যেখানে শরীফুল ইসলাম-আলী খানদের বিপক্ষে ভুগছিলেন সেখানে অপরপ্রান্তে বেশ সাবলীল ছিলেন তিনি। তবে শেষ দুই ওভারে ২৬ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি কিরটন। ১৯তম ওভারে সাকিবের বলে গুরবাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৫৪ বলে করেছেন ৭৭ রান।
শেষ ওভারে টরেন্টোর প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। তবে আলী খানের ওভার থেকে ১৬ রান তুলতে পারে তারা। শেষ পর্যন্ত বাংলা টাইগার্সের কাছে তাদের হারের ব্যবধান ২ রান।
বাংলা টাইগার্সের হয়ে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। শরীফুল ১টি উইকেট নিতে খরচ করেছেন ৪ ওভারে ৩১ রান।