শেষ সেশনে জোড়া উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ, এখানেই সবচেয়ে বড় স্বস্তির জায়গা হতে পারে স্বাগতিকদের জন্য। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৪২ রান। প্রথম দিন হিসেবে এই রান বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখবে।রান রেট দুই দশমিক ছয় আট। শেষ বেলায় রানের গতিটা একটু বেড়েছিল। দিনের শেষ দশ ওভারে সাকিব-লিটন ওভার প্রতি রান রেট চার রেখেছিলো। তাদের ব্যাটেই বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখতেই পারে। যদিও ধরা হচ্ছে দ্বিতীয় দিন উইকেটে স্পিনটা আরো বেশি ধরতে পারে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটাই হবে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং।
তার আগে দিনের দুই সেশনে বাংলাদেশ দুটি করে উইকেট হারায়। টস জিতে ব্যাটিং নেয়া বাংলাদেশের শুরুটা ছিল বেশ সাবধানী। তামিম-সাদমান ওপেনিং জুটিতে ভালো কিছু দেখার আশা ছিল ভক্তদের। কিন্তু সেই আশায় ছেদ ঘটান তামিম। কেমার রোচের দারুণ ইন সুইংয়ে বোল্ড হন। তখন এই ওপেনারের রান মাত্র ৯। নাজমুল হোসেন শান্ত’র সাথেও বড় জুটি হয়নি সাদমানের। ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পড়েন শান্ত। বাংলাদেশ তখন দুই উইকেটে ৬৬ রান।
দ্বিতীয় সেশনটাতেও বাংলাদেশকে হারাতে হয়েছে দুই উইকেট। এই সেশনে বেশ ভুগিয়েছে উইন্ডিজ স্পিনার ওয়ারিকান। প্রথম সাদমান-মুমিনুলের ৫০ উর্দ্ধ পার্টনারশিপে আঘাত করেন। যদিও মুমিনুল একটু অস্বস্তি নিয়েই ব্যাটিং করছিলেন। যা বুঝা গেছে আউট হওয়ার আগের ওভারে। ৫১ ওভারের শেষ বল মিড উইকেট ক্যাম্পবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। অধিনায়কের রান তখন ২৬। তার আগে অবশ্য ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি পেয়ে যান সাদমান ইসলাম। প্রথম হাফ সেঞ্চুরি এই উইন্ডিজদের বিপক্ষেই পেয়েছিলেন, অভিষেক ম্যাচে। তবে ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হন। আরও বেশি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন আউট হওয়ার পর।
৫৬ ওভার দুই বলে সেই ওয়ারিকান এলবির ফাঁদে ফেলেন। কিন্তু রিভিউর সুযোগ থাকার পরও রিভিউ না নিয়ে ভুল করেছেন বলা যায়। অপরপ্রান্তে মুশফিকের সাথে আলোচনা করে রিভিউ নেননি। পরে টিভি রিপ্লাইতে দেখা যায় তিনি আউট হননি। রিভিউ নিলে বেঁচে যেতে পারতেন। শেষ পর্যন্ত ৫৯ রানে শেষ হয় সাদমানের ইনিংস।
ওয়ারিকান আতংক শেষ সেশনেও ছিল। মুশফিক-সাকিবের ৫৯ রানের জুটি ভাঙ্গেন এই বামহাতি স্পিনার। কর্নওয়ালের হাতে স্লিপে ক্যাচ দেন মুশফিক ৩৮ রান করে। ধারণা করা হয়েছিল এই সেশনেও জোড়া উইকেট পাবে উইন্ডিজরা। সেটা অবশ্য হতে দেননি সাকিব-লিটন জুটি। ৪৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে টিকে আছেন। সাকিব ৩৯ আর লিটন আছেন ৩৪ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ২৪২/৫ ( সাদমান ৫৯, মুশফিক ৩৮, সাকিব ৩৯*, লিটন ৩৪*)
ওয়ারিকান ৩/৫৮