প্রথম লেগের মতো দ্বিতীয় লেগেও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটি, দুই লেগ মিলিয়ে সিটির অ্যাগ্রিগেট ২-৪। শুরুতে লিড নিয়েও ম্যাচ হেরেছে বরুশিয়া।
প্রথম লেগ জিতে এগিয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির শিরদাঁড়ায় শীতল স্রোত বইয়ে দিতে দেরি করেনি বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। নিজ দেশের ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে সিগনাল ইদুনা পার্কে লড়াই জমিয়ে দিয়েছিলেন জুড বেলিংহ্যাম, বনে গেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে কমবয়সে গোল করা ইংলিশ ফুটবলার। বরুশিয়ার গোলটা সিটিকে এমন একটা জায়গায় আটকে দিয়েছিলো যে, ওই এক শূন্য ব্যবধানে জিতলেও সেমিতে যাবে স্বাগতিকরা। গার্দিওলার তখন হয়তো মনে পরছিলো, সবশেষ তিন মৌসুমে কথা; কেননা শেষ তিন বছরেই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছিলো সিটি!!
সিটির ফুটবলের ধরন থেকে যে কেউই বলতে পারে, দলটা হোম বা অ্যাওয়ে; বরাবরই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে অভ্যস্ত, মনোযোগী। অ্যাওয়ে ম্যাচেও ৬৩ ভাগ বলের দখল, ৭৯০টি পাসের মধ্যে ৯২.২ ভাগ সঠিক; এমন ফুটবল খেলে সুযোগ তৈরী না হওয়ার কোন কারণ নেই, হয়েছেও। জার্মান মিডফিল্ডার এমেরে চান বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে করেন হ্যান্ডবল, ডি-বক্সের ভেতরে। সেই লাইফ লাইনই কাজে লাগিয়ে ম্যাচে ফেরে সিটি, পেনাল্টি থেকে গোল করেন রিয়াদ মাহারেজ।
দুই এক স্কোরলাইনে ৯০ মিনিট শেষ হলে ম্যাচ যাবে অতিরিক্ত সময়ে, এই সমীকরন তখন বরুশিয়ার সামনে। আরলিং হালান্ড কিংবা মার্কো রয়েসরা একটা গোলের জন্য হন্যে হয়ে থাকলেও, গোলবারে বেশি শট নিয়েছে সিটি; ১৬টা, যার চারটাই গোলে। গোলবারে নেয়া ওই চারশটেরই একটা ফিল ফোডেনের, ৭৫ মিনিটে। বরুশিয়া গোলবারের ডান দিকে থেকে পাওয়া কর্নার লম্বা করে বাড়ানোর বদলে শট কর্নার নেয় সিটি, বল চলে আসে ডি-বক্সের বাইরে ডান দিকে দাঁড়ানো ফিল ফোডেনের পায়ে। প্রথম টাচে বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে পরেই টাচটাই গোলে শট, বরুশিয়া গোলকিপার তার বাঁম দিকে ঝাঁপিয়েও বল ঠেকাতে পারেননি। দুই এক গোলের ওই লিডই ছিলো ম্যাচের জয়-পরাজয়ের ল্যান্ডমার্ক। টানা তিন মৌসুম কোয়ার্টার থেকে বাদ পরার পর অবশেষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটি, পেপ গার্দিওলার কোচিংয়ে এবারই প্রথম ইউরোপের এলিট টুর্নামেন্টের শেষ চারে “নীল ম্যানচেস্টার”।