ফরচুন বরিশালের দেওয়া ১৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে যখন ৪০ রান তুলতেই সিলেট স্ট্রাইকার্সের ৬ উইকেট পড়ে গেছে, তখনই হার দেখে ফেলেছে সমর্থকরা। তবে হাল ছাড়েননি আরিফুল ইসলাম ও বেনি হাওয়েল। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন তারা, যদিও দলকে জেতাতে পারেননি ম্যাচ। বরিশালের কাছে সিলেটের ১৮ রানের হার।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা যেমন করার প্রয়োজন ছিল তেমনটা করতে পারেনি সিলেট। নাজমুল হোসেন শান্ত, হ্যারি টেক্টর ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। জাকির হাসানও করতে পারেনি ৫ এর বেশি রান।
তবে সিলেটকে ম্যাচে রাখেন হাওয়েল ও আরিফুল জুটি। দুজনে মিলে গড়েন ৫২ বলে ১০৮ রানের জুটি। ২৮ বলে বিপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেয়ে যান আরিফুল। তবে এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৩১ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় করেছেন সিলেটের ইনিংসের সর্বোচ্চ ৫৭ রান।
শেষ ওভারে সিলেটের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। তবে সেই সমীকরণ মেলাতে পারেননি হাওয়েল। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে করেছেন ৩২ বলে ৫৩ রান।
বরিশালের হয়ে চার ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন কাইল মেয়ার্স।
আগে ব্যাট করে মুশফিকুর রহিমের ৩২ বলে ৫২ ও কাইল মেয়ার্সের ৩১ বলে ৪৮ রানের কল্যাণে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে বরিশাল।
টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতে এক মুহুর্তও দেরি করেননি তামিম। বরিশাল অধিনায়কের লক্ষ্যটা পরিষ্কার, যতটা সম্ভব সিলেটকে বড় রানের টার্গেট দেওয়া। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভাল করেছিলেন আহমেদ শেহজাদ ও তামিম ইকবাল। তবে দুজনের কেউই পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। শেহজাদ আউট হয়েছেন ১১ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৭ রান করে। তানজিম সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে তামিম করেছেন ১৮ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৯ রান।
চলমান বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা কাইল মেয়ার্স খেলেছেন দারুণ। মুশফিকের সাথে ৪৮ বলে ৮৪ রানের জুটি গড়ে বরিশালকে বড় সংগ্রহের ভিত এনে দিয়েছেন। ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরেছেন মেয়ার্স। শফিকুল ইসলামের বলে আউট হওয়ার আগে করেছেন ৩১ বলে সমান ৩টি করে বাউন্ডারি ও ছক্কায় ৪৮ রান।
মেয়ার্স ফিরলেও ঠিকই ফিফটি তুলে নিয়েছেন মুশফিক। তবে এরপরই রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি। তার আগে ৩২ বলে ৩টি করে বাউন্ডারি ও ছক্কায় করেছেন ৫২ রান। এদিন ১৬২.৫০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন মুশফিক।
শেষের দিকে ঝড় তুলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ খেলেছেন ৭ বলে ২ ছক্কায় ১৫ রানের ক্যামিও।
সিলেটের হয়ে ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন তানজিম সাকিব। একটি করে উইকেট নিয়েছেন হ্যারি টেক্টর ও শফিকুল ইসলাম।