একমাত্র চারদিনের ম্যাচে হার এড়াতে পারলো না টাইগার যুবারা। তৃতীয় দিন শেষে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল শনিবারে স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পেরেছে মাত্র ৫৮ রান; ২২৮ রানেই শেষ হয়েছে টাইগার যুবাদের দ্বিতীয় ইনিংস। ১১০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিলাল সায়েদির অর্ধশতকে ৩ উইকেটে জয় তুলে নেয় সফরকারীরা।
তৃতীয় দিনে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল যখন প্রথম ইনিংস শেষ করে তখন তাদের নামের পাশে ২৮১ রান; লিড ১১৯ রানের। ১১৯ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইফতিখার ইফতির উইকেট হারালেও, খালিদ হাসানের সাথে ৫৭ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। ২০ রান করে খালিদ ফিরে গেলেও, নাবিল খেলতে থাকেন একপ্রান্ত আগলে রেখে। অর্ধশতক তুলে নিয়ে ব্যক্তিগত ৭৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার আগে অধিনায়ক আইচ মোল্লাহকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন ৯১ রান। তৃতীয় দিন শেষে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক।
চতুর্থ দিনের শুরুতেই কোনো রান না করেই ড্রেসিং রুমের পথে আইচ। আইচের আউটের সাথে সাথেই বাংলাদেশ দলের আশার প্রদীপ ততোক্ষণে শুরু করেছে নিভতে। শেষমুহুর্তে মেহরাব হোসেনের ৩০ এবং তাহজিবুল ইসলামের ২০ রান শুধু লক্ষ্যটাকেই করেছে বড়। ২২৮ রানেই শেষ টাইগারদের দ্বিতীয় ইনিংস; ১০৯ রানে পিছিয়ে আফগানরা।
১১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে গিয়ে একপ্রান্ত থেকে উইকেট হারাতে থাকলেও, অপর প্রান্ত আগলে রাখেন প্রথম ইনিংসে শতক তুলে নেয়া বিলাল সায়েদি। প্রথম ইনিংসে ১১৪ রানের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে সায়েদির ব্যাট থেকে আসে মূল্যবান ৫৪টি রান। জয়ের জন্য যখন ২ রান প্রয়োজন, তখন অনিয়মিত বোলার প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের বলে উইকেটকিপারের গ্লাভসবন্দী হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। যদিও নিজের আউটটাকে মেনে নিতে পারেননি বিলাল সায়েদি, পিচের উপরেই দাড়িয়ে ছিলেন কয়েক মুহুর্ত। দুর্দান্ত ফিল্ডিং করলেও, আফগানিস্তানের জয়টাকে রুখতে পারেনি টাইগাররা। ৭ উইকেট হারিয়েই সফরকারীরা পৌছে গেছে জয়ের বন্দরে। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আইচ মোল্লাহ, মুশফিক হাসান এবং রিপন মন্ডল।